মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর কবর অজ্ঞাত অবস্থায় পড়েছিল। বঙ্গবন্ধু কবর কাদের সিদ্দিকী আবিষ্কার করেছিলেন।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত কাদেরিয়া বাহিনীর অস্ত্র জমাদানের ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করার পর কাদের সিদ্দিকী যেভাবে প্রতিবাদ করেছেন, যা না করলে ইতিহাসে কলঙ্কিত হয়ে থাকতো। বিদেশী প্রভুদের ইঙ্গিতে ৭১ সালে যারা আমাদের স্বাধীনতা মেনে নেয় নাই, বিরোধী করেছে তারা চুপ করে বসে নাই। বাংলাদেশ এখন রোল মডেলে পরিনত হচ্ছে এটা তারা তা চাচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, কাদের সিদ্দিকী ইতিহাসের গর্বিত সন্তান। মুক্তিযুদ্ধের মহামানব। তার বীরত্বগাঁথার ইতিহাস বিরল। যুদ্ধ শেষে বিজয়ী হয়ে তিনি এক লাখ চার হাজার অস্ত্র বঙ্গবন্ধুর কাছে জমা দিয়েছিলেন। এটি একটি বিষ্ময়। বাংলাদেশ সৃষ্টিতে কাদেরিয়া বাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা রয়েছে। কাদেরিয়া বাহিনীর যোদ্ধারা আমার চেয়েও সাহসী ছিলেন।
এদিকে একই অনুষ্ঠানে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেন, ডিসিদের সম্মানও নাই জ্ঞান নেই। জয় বাংলা একটাই। সেটা বিএনপি বা জাতীয় পার্টি হোক সবারই হবে জয় বাংলা। বঙ্গবন্ধু বললেন জয় বাংলা আছে, জয় বাংলা থাকবে।
‘বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালে ২৪ জানুয়ারি টাঙ্গাইলে এসে অস্ত্র জমা নিয়েছিলেন। অস্ত্র জমা দিলাম বিন্দুবাসিনী স্কুল মাঠে অথচ এখানে কোন চিহ্ন নেই। টাঙ্গাইল ওয়াপদা ডাকবাংলাতে বঙ্গবন্ধু প্রথম এসেছিলেন।’
ওই বাংলোটি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর করার আহ্বান জানান তিনি। স্মৃতিচিহ্ন না হওয়ায় তিনি আওয়ামী লীগের নেতাদের কুর্কমকে দায়ী করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি রায় এমপি, মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক মোহন, কবি বুলবুল খান মাহবুব, কবি আল মুজাহিদী, কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীর প্রতীক, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মিনী নাসরিন কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।