পারস্য সভ্যতা তথা আজকের ইরান পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়কর দেশ। পাশ্চাত্য সভ্যতার সঙ্গে দুর্দান্ত প্রতাপে প্রতিযোগিতা করে চলেছে দেশটি। ইরানের রহস্য ও ইরান সম্পর্কে জানার আছে অনেক কিছুই। কিন্তু জানবেন কীভাবে? সবাই চাইলেই ইরান সফর করতে পারেন না। তাহলে উপায়?
একবার ভাবুন তো, আপনি বাংলাদেশে বসেই হেঁটে বেড়াচ্ছেন ‘তাখতে জামশিদ’ বা পারসিপোলিস প্রাসাদে বা শিরাজের সোনালী আঙুর ক্ষেতে অথবা হঠাৎ উপস্থিত হলেন মাতৃভক্তির জন্য বিখ্যাত হযরত বায়েযিদ বোস্তামির সমাধিসৌধে!
ঠিকই তাই। মোটা অংকের অর্থ খরচ ছাড়াই ঘরে বসে জানতে পারবেন পারস্য সভ্যতা বা ইরানের নানা দিক সম্পর্কে। সে সুযোগ পাচ্ছেন ‘ইরানের পথে প্রান্তরে’ পাঠ করে।
বইটিকে শুধু ভ্রমণকাহিনী বা দিনলিপি বললে ভুল হবে। এটি ইরানের কৃষ্টি, কালচার,সভ্যতা, সংস্কৃতির সাথে, বিশ্ব অঙ্গনে ইরানের অবস্থান তুলে ধরবে আপনার দৃষ্টিসীমানায়। বইটি পড়ে মনে হবে আপনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন সেই প্রাচীন ইলামী যুগে, আবার ফালুদা ও খমের (ইরানের বিখ্যাত দুটি খাবার) ঘ্রাণে খুঁজে পাবেন শিরাজে। আধুনিক ও প্রাচীন ইরানের বর্ণনায় টইটুম্বুর হয়ে আছে বইটি। পাতায় পাতায় ফুটে উঠেছে লেখকের সূক্ষ্ম রসবোধ।
এছাড়াও বইটি পড়ে প্রথম পরিচিত হতে পারবেন একই সাথে ইরানের সবচাইতে ধনী শহর, মোটর সাইকেল ব্যতিত শহর, মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র অলিগলিহীন শহর, সময়হীন গ্রাম ও লিলিপুটদের গ্রামের সাথে। এর প্রতিটি পরতে পরতে রয়েছে নৃতাত্ত্বিক, পুরাতাত্ত্বিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের বর্ণনার সমাহার।আপনার মানসপটে বর্ণনাকে জীবন্ত করে তুলতে পুরো বইজুড়ে রয়েছে অসংখ্য চিত্র।যা আপনার চোখের সামনে তুলে ধরবে ইরানের আদ্যোপান্ত।
ইরানের পথে-প্রান্তরে বইটি লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুমিত আল রশিদ। ইরানে পিএইচডি করতে যাওয়ার সুবাধে তিনি বিভিন্ন সময় চষে বেরিয়েছেন দেশটিতে। প্রত্যক্ষদর্শী সেইসব ঘটনাবহুল জীবন নিয়েই লেখা বইটি। প্রকাশ করেছে কাকলী প্রকাশনী। প্রচ্ছদ করেছেন নিয়াজ চৌধুরী তুলি।
বইটর মূল্য ধরা হয়েছে ৩০০ টাকা। বইমেলা ২০২১ এর ১৪ নং স্টলে (প্যাভিলিয়ন) পাবেন ইরানের পথে-প্রান্তরে বইটি।