ফ্রান্সে দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার আগে ন্যাশনাল ফ্রন্ট পার্টি প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মারিনা লা পেন।
সোমবার সন্ধ্যায় ফ্রেন্স টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে লা পেন বলেন, ‘আজ সন্ধ্যা থেকে আমি আর ন্যাশনাল ফ্রন্টের প্রধান থাকছি না, আমি এখন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী’।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট হলে ফ্রান্সের সকল জনগণের জন্য কাজ করতে চাই। আমার পার্টির উর্ধ্বে উঠে কাজ করা প্র্রয়োজন।
নির্বাচন বিষেজ্ঞরা মনে করছেন, তার এই কার্যক্রম দেশের জন্য তার কাজ করার ইচ্ছার প্রকাশ, দলের জন্য নয়। তিনি প্রথম রাউন্ডে রিপাবলিকান ফ্রান্সিস ফিলনকে পরাজিত করার পর ভোটারের কাছে পৌঁছানোর কৌশল হিসাবেই এই পদত্যাগ করলেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে আগামী ৭ মে দ্বিতীয় দফায় ‘রানঅফ’ ভোটের জন্য লড়বেন কট্টর ডানপন্থি প্রার্থী মারিন লা পেন এবং ৩৯ বছর বয়সী এম্যানুয়েল মাক্রোঁ।
যদিও আগামী নির্বাচনে ৩৯ বছর বয়সী এম্যানুয়েল মাক্রোঁকে এখনো পর্যন্ত নির্বাচনে ফেবারিট ধরা হচ্ছে, তবুও লা পেন বলেছেন ‘আমরা জিততে পারবো, আমরাই জিতবো।’
তবে জনমত জরিপে এখনো বেশ এগিয়ে আছে ম্যাক্রো। ৭ মে নির্বাচনের আগে ২৫ এপ্রিল করা এক জনমত জরিপ বলছে, ম্যাক্রো ৬২% এবং লা পেন মাত্র ৩৮% ভোট পেয়েছেন।
লা পেন ২০১১ সালে তার বাবার জায়গায় ন্যাশনাল ফ্রন্টের পার্টির প্রধানের চেয়ারে বসেন। তবে তিনি রোববারের নির্বাচনে ২০০২ সালে তার বাবার চেয়ে ২.৮ মিলিয়ন ভোট বেশি পেয়েছেন।
২৩ এপ্রিল প্রথম রাউন্ড ভোটের ফলাফলে ৯৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। তার মধ্যে সাবেক অর্থমন্ত্রী এবং সর্বকনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এম্যানুয়েল মাক্রোঁ পেয়েছিলেন ২৩.৯% এবং নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী কট্টর ডানপন্থি প্রার্থী মারিন লা পেন পেয়েছিলেন ২১.৪% ভোট।
নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের মধ্য থেকে প্রথম রাউন্ডে সবচেয়ে বেশী ভোট পাওয়া দু’জন প্রার্থী নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটকে ‘রানঅফ ভোট’ বলা হয়ে থাকে।