একবার ভাবুন তো, কোনো এক দলের আক্রমণে আর রক্ষণে খেলছেন মাত্র দুইজন করে খেলোয়াড়, বাকিরা সবাই খেলছেন মাঝমাঠে! সেখানে আছেন গোলরক্ষকও! অদ্ভুত শোনালেও এই ফর্মেশন কিন্তু এখন আর কেবল কল্পনাতেই থাকছে না। ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত ইতালিয়ান সাবেক মিডফিল্ডার থিয়াগো মোত্তার কল্যাণে মাঠেও চলছে এর চর্চা। মোত্তার বিশ্বাস, ফুটবলের ধরণই একদিন বদলে দেবে তার এ ফর্মেশন!
গত গ্রীষ্মেই মাঠের খেলাকে বিদায় জানিয়েছেন মোত্তা। খেলোয়াড়ি জীবন ছেড়ে হয়েছেন পিএসজি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ। খেলোয়াড়ি জীবনে গুরু হিসেবে পেয়েছেন লুই ফন গাল, ফ্রাঙ্ক রাইকার্ড, হোসে মরিনহো, রাফায়েল বেনিতেজ, কার্লো আনচেলত্তি, লরাঁ ব্লাঁ, ক্লদিও রানিয়েরির মতো মাঠ কাঁপানো কোচদের।
বিখ্যাত সব কোচের থেকে পাওয়া শিক্ষা একাট্টা করে শিষ্যদের মাঝে ঢেলে দিচ্ছেন মোত্তা। তারই ফসল হিসেবে জন্ম ২-৭-২ ফর্মেশন নামের অদ্ভুত ঘরানার এই ফুটবল। এরইমধ্যে শিষ্যদের তালিম দেয়া শুরু করেছেন এ ফর্মেশনের ফুটবলের।
নিজে মিডফিল্ডার ছিলেন বলেই কিনা মোত্তা মাঝমাঠকেই প্রাধান্য দিয়েছেন বেশি। কেমন হতে পারে তার ২-৭-২ ফর্মেশন? সেটি গেজেত্তা ডেল স্পোর্তকে দেয়া সাক্ষাৎকারে খোলাসা করেছেন।
‘খেলায় আমার ধরণ হবে আক্রমণাত্মক। একটা ছোট দল সবসময় খেলার নিয়ন্ত্রণ রাখবে, হাই-প্রেসিং ফুটবল খেলবে আর বলসহ কিংবা ছাড়া প্রচুর দৌড়াদৌড়ি করবে। আমি চাই বল আদায়ের জন্য দুই থেকে তিন রকমের সমাধান এবং দুইজন করে খেলোয়াড় সবসময় কাছে থাকবে, যেন তারা একে অপরকে সাহায্য করতে পারে।’
‘আমি মাঠের সংখ্যা নিয়ে ভাবতে চাই না। কারণ তারা আপনাকে ধোঁকায় ফেলবে। আপনি হয়তো ৫-৩-২ ফর্মেশনে খেলেও অত্যন্ত আক্রমণাত্মক হতে পারেন, কিংবা ৪-৩-৩ ফর্মেশনে ভীষণ রকম রক্ষণাত্মক। এটা খেলোয়াড়দের মানের উপর নির্ভর করে। আমি এক ম্যাচে দুই ফুলব্যাককে ৯ ও ১০ নম্বর পজিশনে থেকে খেলা শেষ করতে দেখেছি। তার মানে এই নয় যে, আমি স্যামুয়েল এবং কিয়েল্লিনির মতো জাত ডিফেন্ডারদের অপছন্দ করি।’
মিডফিল্ডার, ডিফেন্ডারদের দিয়ে না হয় মাঝমাঠ সাজানো সম্ভব, কিন্তু গোলরক্ষক কেনো মধ্যমাঠে খেলবেন? এমন ধাঁধারও উওর দিয়েছেন মোত্তা, ‘গোলরক্ষককে সাত মিডফিল্ডারের একজন হিসেবে খেলতে হবে। আমার মতে একজন অ্যাটাকার হচ্ছে প্রাথমিক ডিফেন্ডার, আর গোলরক্ষক হচ্ছে প্রথম অ্যাটাকার। পা দিয়ে একজন গোলরক্ষকই প্রথম আক্রমণটা শুরু করে, আর ফরোয়ার্ড চেষ্টা করে বল কেড়ে নেয়ার।’