সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই বিসিবি পরিচালক তানজিল চৌধুরী জানালেন স্কুল ক্রিকেট থেকে গত বছর ২৭ জন ক্রিকেটার উঠে এসেছেন, যারা বয়সভিত্তিক দলে খেলছেন। পরে জানা গেল সংখ্যাটা আরও বেশি, ২৯। স্কুল ক্রিকেটের হারানো ঐতিহ্য যে ফিরতে শুরু করেছে তা প্রমাণ করে এটি। এই ধারাবাহিকতা টিকিয়ে রাখতে বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেটের নতুন আসর।
স্কুল ক্রিকেট খেলেই আকরাম, সুজন, নান্নুরা ধরেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের হাল। নানা অব্যবস্থাপনায় স্কুল ক্রিকেটের গর্ব হারিয়ে যেতেই বসেছিল। বিকেএসপি নির্ভর হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাইপলাইন। এবার অংশ নিচ্ছে দেশের ৫৫৪টি স্কুলের ১১ হাজারেও বেশি ক্ষুদে ক্রিকেটার। মঙ্গলবার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলন করে মহাযজ্ঞের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। আয়োজকরা মনে করেন সামনে আরও বেশি ক্রিকেটার উঠে আসবে স্কুল ক্রিকেট থেকে।
জেলা পর্যায়ে ৯১৫ ম্যাচে অংশ নেবে ৫৫৪টি স্কুল। জেলা চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে হবে পরের রাউন্ড। সাতটি বিভাগীয় ও ঢাকা মেট্রো চ্যাম্পিয়নের অংশগ্রহণে হবে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। ওয়ানডে ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্টে মোট ম্যাচ ৯৭৯টি।
স্কুল ক্রিকেটের পৃষ্ঠপোষকতা করছে প্রাইম ব্যাংক। এবারের আসরের জন্য তারা বিসিবিকে দিচ্ছে এক কোটি ১৫ লাখ টাকা।
গত আসরে বয়স চুরি ও ভাড়াটে ক্রিকেটার খেলিয়ে নিষিদ্ধ হয়েছিল একটি স্কুল। চুরি ঠেকাতে এবার আরও কঠোর হচ্ছে বিসিবি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী, বিসিবি পরিচালক ও বয়সভিত্তিক ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান তানজিল চৌধুরী, প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহেল আহমেদ ও ব্যাংকটির সেক্রেটারি মোহাম্মদ এহসান হাবিব।