প্রিয়জনকে বিদায় দিতে গিয়ে সৃষ্টি হয় আবেগঘন মুহূর্ত। প্রিয়জন দূরদেশে কিংবা প্রতিবেশি দেশে গেলেও মন খারাপ হয়। তাই সবাই মিলে ঘটা করে বিদায় জানানোর চল অনেক পুরনো। কিন্তু যুক্তরাজ্যের কয়েকটি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রিয়জনের বিদায়কে করে তুলেছে বাণিজ্যিক।এসব বিমানবন্দরে বিদায় বেলায় প্রিয়জনকে আলিঙ্গন কিংবা চুমু খেতে গেলেও গুণতে হবে টাকা।
তবে চালকরা দ্রুত ওঠা-নামার স্থানগুলো ব্যবহার করে যাত্রীদের এই খরচ থেকে বাঁচাতে সহযোগিতা করে। যদিও এজন্য চালকদের প্রতি মিনিটে ৩৫ বৃটিশ পাউন্ড গুণতে হয়।
ডেইলি মেইল জানায়, যুক্তরাজ্যের ব্যস্ততম ২০টি বিমানবন্দরের মধ্যে কমপক্ষে ৫টি টার্মিনাল তথাকথিত ‘চুমু এবং বিদায়’ এর ফি বাড়িয়েছে। এই ২০টির মধ্যে প্রায় অর্ধেকই বাড়িয়েছে পার্কিং ফি।
রয়্যাল অটোমোবাইল ক্লাবের (আরএসি) অনুসন্ধানে দেখা গেছে, লন্ডনের স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দর টার্মিনাল যাত্রী বিদায় জানানো কিংবা অভ্যর্থনা জানানোর জন্য বেশি ব্যয়বহুল। গত বছর তারা লন্ডনের লুটন বিমানবন্দরের সঙ্গে এই খরচের জন্য শীর্ষে ছিল।
তবে এখন থেকে স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দর খরচ বাড়িয়ে প্রতি ১০ মিনিটের জন্য সাড়ে তিন ইউরো নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেখানে আগে ছিল তিন ইউরো।
লিভারপুলের জন লেনন বিমানবন্দরেও প্রতি ২০ মিনিটের জন্য তিন ইউরো গুণতে হয়। এছাড়া গ্লাসগো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের বিনামূল্য সেবা থেকে বেরিয়ে অর্থ আয়ের পথ বেছে নিয়েছে। তারা প্রতি ১০ মিনিটের জন্য ফি ঠিক করেছে দুই ইউরো।
এছাড়া বার্মিংহাম, এডিনবার্গ বিমানবন্দরেও এই খরচ আছে। তবে হিথ্রো, গ্যাটউইক, লন্ডন সিটি, ম্যানচেস্টার, বেলফাস্ট সিটি এবং জার্সি এই সাতটি বিমানবন্দর বিনামূল্যে বিদায় কিংবা স্বাগত জানানোর সুযোগ দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে।