জনগণের বিক্ষোভ আর বিচারপতিদের নির্দেশের পরও অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেয়া নির্বাহী আদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে দাবি করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম প্রবেশ নিষিদ্ধ নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে সন্ত্রাস প্রতিরোধই এর প্রধান লক্ষ্য বলে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন ট্রাম্প। ‘সর্বোচ্চ নিরাপদ নীতিগুলো’ আরোপের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে আবারও ভিসা দেয়া হবে জানিয়েছেন তিনি।
আফ্রো-এশীয় ৭টি মুসলিম-প্রধান দেশের যে কোনো নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের ওপর শনিবার সাময়িক স্থগিতাদেশ দেন এক মার্কিন আদালতের বিচারক। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ১৬টি অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল অভিবাসন বন্ধে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশকে অসাংবিধানিক বলেও রায় দেন।
আরও বেশ কয়েকজন ফেডারেল বিচারপতি ভিসাধারীদের বাধ্যতামূলক দেশত্যাগ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রধান শহরে। বিক্ষোভ হয়েছে যুক্তরাজ্য, ইরাক ও রোমানিয়াসহ আরো কয়েকটি দেশে। মিত্র দেশ যুক্তরাজ্য এবং জার্মানি ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের নিন্দা জানিয়েছে। বিতর্কিত এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে নেদারল্যান্ডস।
অন্যদিকে এ সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক ও ভীতিকর উল্লেখ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে সুইডেন।