প্যালেস্টাইন সফরে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দল। মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৪৫মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান রানা-তকলিছরা।
সফরে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ালিফায়ারে তিনটি ম্যাচেই হারে অ্যান্ড্রু অর্ডের দল। প্রথম ম্যাচে ৭ গোল হজম করার পর, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ম্যাচে নিজেদের জালে আরো ছয়টি গোল হজম করে বাংলাদেশের যুবারা। আর তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে পুরতে পেরেছে মাত্র একটি গোল।
এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইপর্বে শুরুর ম্যাচটা ছিল জর্ডানের বিপক্ষে। তাতে ৭ গোল খাওয়ার পর অর্ড বলেছিলেন, ‘এই ফিটনেস দিয়ে কাজ হবে না। ছেলেরা ক্লাবে নিজেকে উজাড় করে দেয়। অথচ জাতীয় দলে আসলে ৪৫ মিনিট খেলতে পারে না।’
দ্বিতীয় ম্যাচে আগে গোল করেও ৩-১ ব্যবধানে তাজিকিস্তানের বিপক্ষে হেরে যাওয়ায় কোচের মন্তব্য ছিল, ‘ওই ম্যাচ প্রমাণ করে ফিটনেস না থাকলে নিজেকে উজাড় করে দিয়েও কাজ হয় না। বাংলাদেশ এখন হারের বৃত্তে আছে। ছেলেরা মাঠে নামার আগেই হেরে যায়। এটা পরিবর্তন করতে হবে।’
শেষে ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে হারের পর তো হতাশাই বেড়েছে অর্ডের। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিযোগিতা করার মতো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ।’
দেশের ফুটবল দিনকে দিন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। প্রতিবেশী ভারত, নেপাল, মালদ্বীপও এখন বাংলাদেশকে অনায়াসে হারিয়ে দেয়। কোচ বদল আর খেলোয়াড়দের প্রস্তুত করতে না পারার জেরে ঘুরপাক খাচ্ছে বাফুফে। ব্যর্থতা নিয়ে ফিরলেও এখন সামনেই তাকাতে হবে। তাই দেখার, অর্ড কিভাবে হেমন্তদের আন্তর্জাতিক আঙ্গনের জন্য প্রস্তুত করে তোলেন।