গত এক বছরে সারাবিশ্বে সেরা গোল কোনটা? যে কৃতিত্বের জন্য ফিফার পক্ষ থেকে দেয়া হয় পুসকাস অ্যাওয়ার্ড। এই পুরস্কারের মনোনয়ন প্রকাশ করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যে মনোনয়নে পুরুষদের পাশাপাশি আছে নারীদের ফুটবলের গোলও। সুপারস্টারদের মধ্যে ১০ জনের মনোয়নে জায়গা পেয়েছেন মাত্র দু’জন– লিওনেল মেসি এবং জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট দিতে হবে ফিফার ওয়েবসাইটে।
এবারের পুসকাস পুরস্কারের জন্য যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের তালিকা–
মাথেউস কুনহা (লিপজিগ) বনাম বেয়ার লেভারকুসেন, ইব্রাহিমোভিচ (এলএ গ্যালাক্সি) বনাম টরন্টো এফসি, লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা) বনাম রিয়াল বেটিস, আজারা এনচৌত (ক্যামেরুন মেয়েদের দল) বনাম নিউজিল্যান্ড, ফ্যাবিও কুয়াগ্লিয়ারেল্লা (সাম্পদোরিয়া) বনাম নাপোলি, হুয়ান ফার্নান্দো কিনতেরো (রিভার প্লেট) বনাম রেসিং, অ্যামি রদ্রিগেজ (উটাহ রয়্যালস মেয়েদের দল) বনাম স্কাই ব্লু এফসি, বিলি সিম্পসন (ক্লিফটনভিল লেডিস এফসি) বনাম সিয়ন সুইফ্ট লেডিস এফসি, অ্যান্ড্রস টাউন্সেন্ড (ক্রিস্ট্যাল প্যালেস) বনাম ম্যানচেস্টার সিটি, ডানিয়েল জোরি (দেব্রেসেন এফসি) বনাম ফেরেনকাভারোস টিসি।
এই তালিকায় নেই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তবে তার নাম বাদ পড়ার দিনই পর্তুগিজ তারকাকে নিয়ে স্মৃতি স্বরণ করেছেন ডিয়েগো ফোরলান। উরুগুয়ের সাবেক তারকা বলছেন, রোনালদোর ইগো ছিল আকাশছোঁয়া। আর আয়নার কাছে থাকতে খুবই ভালোবাসতেন তিনি।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে বছর খানেক এক সঙ্গে খেলেছিলেন ফোরলান ও সিআর সেভেন। সেই সময়ে উরুগুয়ান তারকা যেভাবে রোনালদোকে দেখেছেন তাই ফাঁস করেছেন এক সাক্ষাৎকারে। পরে লা লিগায় একাধিকবার মুখোমুখি হয়েছেন প্রতিপক্ষ ক্লাবের জার্সিতে।
ফোরলানের কথায়, ‘ক্রিস্টিয়ানো বড়ই ইগোকেন্দ্রিক ছিল। ড্রেসিংরুমে তাকে এরকমই লাগত। যা একেবারেই মিলত না ডেভিড বেকহ্যামের সঙ্গে।’
দুই তারকাকে কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতার জন্যই উঠে এসেছে রোনালদো ও বেকহ্যামের তুলনার প্রসঙ্গ। তা নিয়েই মন্তব্য ফোরলানের, ‘ক্রিস্টিয়ানো সব সময় আয়নার সামনে থাকত। সে পুরো একদিন আয়নার দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে। সে সবসময় আয়নার সামনে পোশাক বদল করত। বেকহ্যাম আবার খুব স্বাভাবিক ছিল। তারা একেবারে আলাদা।’
তবে রোনাল্দোর ভালো গুণের কথাও তুলে ধরেছেন ফোরলান। সিআর সেভেন সম্পর্কে উরুগুয়ান তারকা বলেছেন, ‘রোনালদো সেই সময় থেকেই প্রচণ্ড পরিশ্রম করত। মাঠেও সেই চেষ্টাটা দেখা যেত।’