নোয়াখালী এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে প্রথম নোয়াখালীতেই গুচ্ছগ্রাম গড়ে তোলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মাত্র সাড়ে তিন বছরেই তিনি চেষ্টা করেছেন দেশের উন্নয়ন করার। কিন্তু ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর পরবর্তী ২১ বছরে আর কোনো উন্নয়ন হয়নি।’
বৃহস্পতিবার গণভবন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করে তিনি অারো বলেন, ‘পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখতেন তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করি। বাংলাদেশকে সার্বিকভাবে উন্নয়ন করাই আমাদের লক্ষ্য সে লক্ষ্যে আমরা যখনই এসেছি তখন প্রকল্প হাতে নিয়েছি।’
এ সময় নোয়াখালী অনেক পুরনো জেলা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সমুদ্র তীরবর্তী হওয়ায় এখানে মানুষকে প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে বাঁচতে হয়। ৮১ সালে দেশে ফেরার পর আমি নোয়াখালী গিয়েছি।’
‘নোয়াখালী খালের কথা শুনেছি, দেখেছি এই খাল কেটে দিলে নোয়াখালীর মানুষের কষ্ট দুর হবে। এ লক্ষ্যে আমরা ১৯৯৬ একটি প্রকল্প নিই। সে সময় জলাবদ্ধতা নিরসনের সমীক্ষা করেছিলাম।’
এ সময় বিরোধীদের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তিনি বলেন: ‘পরবর্তীতে যে সরকার আসে তার সময় দেশের কোন উন্নয়ন ছিল না। ছিলে শুধু দুর্নীতি। এ কারণে আমরা যেসব উন্নয়ন কাজ করবো বা শুরু করেছিলাম তারা তা সমাপ্ত করেনি। শুধু কয়েকটির ফিতা কেটেছি মাত্র। সে সময় ৭ বছর অপচয় হয়।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এরপর ২০০৮ এ এসে আমরা আবার ক্ষমতায় এসে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেই। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হতে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে। সেই প্রকল্পের উদ্বোধন করে আমি আজ আনন্দিত।’
দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে যাদের জমি অধিগ্রহণ হবে তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন: ‘উন্নয়নমূলক কাজে যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হবে তাদের তিনগুণ মূল্য পরিশোধ করা হবে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাদের পুনর্বাসন করা হবে।’