বঙ্গোপসাগর উপকূলীয় সাত দেশের জোট বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল এন্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক)-এর চতুর্থ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নেপালে পৌঁছেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৮টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে নেপালের উদ্দেশ্য রওনা দিয়ে স্থানীয় সময় সোয়া নয়টায় দিকে কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন বিমান বন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দর থেকে সাড়ে ৯টার দিকে হোটেল সল্টি ক্রাউলিক যান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বিকেলে বিমসটেকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও নেপালের রাষ্ট্রপতির দেয়া নৈশভোজে যোগ দেবেন।
সাত দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে বিমসটেক সম্মেলনে যোগদান ছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কথা রয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।
এই উপ-আঞ্চলিক সংস্থাটি ১৯৯৭ সালের ৬ জুন ব্যাংকক ঘোষণার মধ্যদিয়ে গঠিত হয়। এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ৫টি দক্ষিণ এশিয়ার। এগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা এবং অন্য দুটি দেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ড।
প্রাথমিকভাবে ৪টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে একটি অর্থনৈতিক জোট গঠিত হয়েছিল। যার সংক্ষিপ্ত নাম ছিল ‘বিআইএসটি-ইসি’ (বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা এবং থাইল্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন)।
১৯৯৭ সালের ২২ ডিসেম্বর থাইল্যান্ডের ব্যাংককে একটি বিশেষ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এই জোটে মিয়ানমারের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে এর নতুন নামকরণ হয় ‘বিআইএমএসটি-ইসি’ (বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলংকা এন্ড থাইল্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন)।
৬ষ্ঠ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে (ফেব্রুয়ারি ২০০৪, থাইল্যান্ড) নেপাল এবং ভুটান অন্তর্ভুক্ত হলে জোটের নতুন নামকরণ হয় ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টোরাল টেকনিক্যাল এন্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক)।’
এই ধরনের একটি জোট গঠনের উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্বায়নের আগ্রাসন মোকাবেলা করে আঞ্চলিক সম্পদ এবং ভৌগলিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে সকলের স্বার্থে পারষ্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা।