১৯৯৬ সালে মানিকগঞ্জের শুকুর আলী ও ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর সাত বছর বয়সী এক শিশুকে নির্যাতন করে হত্যা করে। এ ঘটনায় বিচারিক আদালত শুকুর আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিলে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। এরপর শুকুর আলী ও ব্লাস্ট রিট করলে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৬ এর ২ ধারায় অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রায় দেয় আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেয়।
১৯৯৫ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন বিশেষ বিধান আইনের ৬ এর ২, ৩, ৪ ধারাগুলোতে নির্যাতন ও হত্যার ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবনের বিধান থাকলেও ৬ এর ২ ধারায় নির্যাতন করে হত্যার দায়ে শুধু মৃত্যুদণ্ডের বিধান ছিলো।২০০০ সালে সংশোধন করে পুরনো আইন বাতিল হবার পর নতুন আইনের ৯ এর ২ ধারায় করে হত্যার ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়।
কিন্তু ২০০০ সালের আইনের ৩৪ এর ২ ধারায় বলা হয়, এ ধরণের অভিযোগে ১৯৯৫ সালের আইনে যেসব মামলা বিচারাধীন, সেগুলো ওই আইনেই চলবে। এরকম একটি মামলার আপিল মঞ্জুর করে পর্যবেক্ষণসহ রায় দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ।
আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের ফলে ১৯৯৫ সালের আইনে বিচারাধীন মামলাগুলোর ভবিষ্যত এখন কী হবে, সে সম্পর্কে জানান এটর্নি জেনারেল মাহাবুবে আলম জানান, বিচারাধীন মামলার বিচারে বর্তমান আইনে কোনো বাধা নেই।