রাজত্ব, অগ্নি, বিজলীর মতো ছবি বানিয়ে পরিচিতি পাওয়া ইফতেখার চৌধুরী এবার ওয়েব সিরিজ বানালেন। ইতোমধ্যে শুটিং শেষ হওয়া ‘ড্রাইভার’ নামে তিন পর্বের এই সিরিজটি চলতি মাসে ওটিটি প্লাটফর্ম বায়স্কোপে মুক্তি পাবে।
চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপে নির্মাতা ইফিতেখার চৌধুরী জানান, প্যান্ডামিক আসার পর দেশে যেসব ওয়েব কনটেন্ট নির্মিত হচ্ছে সব একই ধাঁচের।
তিনি বলেন, নাটক, সিনেমা, ওয়েব ফিল্ম-সিরিজ এগুলোর পার্থক্য খুঁজে পাই না। সাউন্ড, মিউজিক, লুক একই লাগে। সেই ভাবনা থেকে চেষ্টা করেছি ‘ড্রাইভার’ কাজটি যেন মানুষ অন্যরকমভাবে গ্রহণ করেন।
বিশ্বের বিভিন্ন ওটিটি প্লাটফর্মের সাথে ‘কোয়াইট অন সেট প্রোডাকশন্স’ হাউজের ব্যানারে নির্মিত ‘ড্রাইভার’ কাজটির তুলনা করতে পারবেন দর্শক সেদিক মাথায় নিয়ে বানিয়েছেন ইফতেখার চৌধুরী। নির্মাতা এই সিরিজটিকে রিভেঞ্জ থ্রিলার ধাঁচের গল্প বলেছেন।
তিনি বলেন, বিদেশি কনটেন্টগুলো অনেক রিচ। দেখলে অন্যরকম ফিল হয়। তেমনভাবে ২৫ মিনিট করে ৩ পর্বে ৭৫ মিনিটে ‘ড্রাইভার’ বানিয়েছি।
দর্শকদের যেন অন্যরকম মনে হয় সে কারণে নাটকের শীর্ষ অভিনেতা মোশাররফ করিম ও চলচ্চিত্রের প্রথমসারির নায়িকা মাহিয়া মাহিকে একসঙ্গে নিয়ে এটি নির্মাণ করেছেন ইফতেখার চৌধুরী। আরও দুটি চরিত্রে অভিনয় করেন আমান রেজা ও আরেফিন জিলানী।
‘দেহরক্ষী’ খ্যাত চিত্রপরিচালক ইফতেখার চৌধুরী বলেন, নাটক-সিনেমা এক করে ড্রাইভার সিরিজ বানিয়েছি। এজন্য দুই মাধ্যমের দুই সেরা অভিনেতা-অভিনেত্রীকে একসাথে কাস্টিং করেছি। শুধু নাটকের মানুষ দিয়ে ওটিটিতে কাজ করলে নাটকই মনে হয়। আমি যেহেতু প্রচুর বিদেশি কনটেন্ট দেখি, আমার মনে হয় ওয়েব সিরিজ বানালে এভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ শিল্পী নিয়ে মানসম্মত কাজ করা উচিত।
ইফতেখার চৌধুরী বলেন, ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম নাটক টেলিফিল্মের মাধ্যমে। ১০ বছর সিনেমা বানিয়ে এবার ওয়েবের জন্য প্রথম কাজ করলাম। যেহেতু মানুষ টাকা দিয়ে কাজটি দেখবে তাই এই সিরিজটি সিনেম্যাটিক আয়োজনে বানিয়েছি।