নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র সঠিক দেখভালের অভাবেই মূল্য অনুযায়ী ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ পাচ্ছেন না সাধারণ গ্রাহক। এমন অভিযোগ করে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় দাম কমাতে না পারায় তাদের ব্যান্ডউইথ কম বিক্রি হচ্ছে। সেজন্য অব্যবহৃত সেই ব্যান্ডউইথ ভারতে বিক্রি করা যৌক্তিক।
নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সরবরাহের লক্ষে ২০০৫ সালে বাংলাদেশ যুক্ত হয়েছিলো আন্তর্জাতিক ‘সামমেরিন কেবল’ এর সঙ্গে। প্রায় ৪২ মিলিয়ন ডলার খরচে যুক্ত হওয়ার বছর তিনেকের মধ্যেই সেই অর্থ তুলে ফেলে সাবমেরিন কেবল কোম্পানি।
যদিও তাদের কাছে থাকা ২০০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বাজারে ব্যবহার হচ্ছে মাত্র ৩৩ জিবি। বাকি পুরোটাই অব্যবহৃত এবং তাদের ভাষায় ‘পচে নষ্ট হচ্ছে’। আর সে কারণেই ভারতের বাজারে তাদের ব্যান্ডউইথ বিক্রির সিদ্ধান্ত। তাতে বছরে ১০ কোটি টাকার লাভ দেখছেন তারা।
বাংলাদেশের মানুষ যখন গতিশীল ইন্টারনেটের জন্য হাহাকার করছে তখন কেনো ব্যান্ডউইথ রপ্তানী এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এর সঙ্গে পরে থাকা ব্যান্ডউইথের কোনো সম্পর্ক নেই।
মনোয়ার হোসেন জানালেন, পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে তাদের ব্যান্ডউইথের দাম আরেকধাপ কমে ১ গিগাবাইট বিক্রি হবে সর্বোনিম্ন ৬২৫ টাকায়।