গত ২৩ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালনের পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট।
কর্মসূচিগুলোর মধ্যে থাকবে ৩১ জানুয়ারি দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিল, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দাবিপক্ষ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও প্রত্যেক জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান।
এছাড়াও ফেব্রুয়ারি ১০ তারিখের মধ্যে তদন্ত পর্যবেক্ষন করে হামলাকারীদের বিচার নিশ্চিত না হলে গণতদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
সোমবার অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ধর্মঘট পরবর্তী বিক্ষোভ সমাবেশে জোটের সমন্বয়ক ইমরান হাবিব রুমন কর্মসূচি ঘোষনা করেন।
তিনি বলেন, সারাদেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জোটের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে। এখন থেকে কোথাও হামলা করা হলে জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা সেখান থেকে প্রতিরোধ করবে।
তদন্ত কমিটি নিয়ে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির ১১ জন সদস্যের মধ্যে ৮ জন নিপীড়কদের পক্ষ নিয়ে শিক্ষক সমিতির মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন। সেখানে পাঁচজন বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তদন্ত কমিটি পর্যবেক্ষণ করবো। পরে আমরা নিজেরাই গণতদন্ত করে সেদিন কি ঘটেছিল জাতির সামনে উপস্থাপন করব।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জিলানী শুভ, সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি নাইমা খালেদ মনিকা প্রমুখ।
এর আগে দুপুর ১২টায় নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তারা দুইটি দাবি উত্থাপন করেন। দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ প্রক্টরের অবিলম্বে অপসারন এবং ১৫ ও ২৩ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের উপর যারা হামলা করেছিল তাদের বহিষ্কার।
তাদের আগামীকালের কর্মসূচির মধ্যে থাকবে দুপুর ১২ টায় প্রতিবাদ মিছিল ও রাজু ভাস্কর্যে প্রক্টরের কুশপুত্তলিকা দাহন।