নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার দেড় বছরেও চালু হয়নি প্রায় ১০ লাখ মানুষ অধ্যুষিত কামরাঙ্গীচরের ৩১ শয্যার হাসপাতালটি। আধুনিক বিল্ডিং থাকলেও নেই আধুনিক যন্ত্রপাতি। কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই হাসপাতালটি চালু হচ্ছে না দাবি স্থানীয়দের। আর কর্তৃপক্ষের দাবি ফাইল জটিলতায় আটকে আছে উদ্বোধন।
তৎকালীন বিএনপি আমলে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়। বর্তমান সরকারে প্রথম মেয়াদে নির্মানকাজ শুরু। দ্বিতীয় মেয়াদে শেষ। এরপর কেটে গেছে প্রায় দেড় বছর। তবুও চালু হয়নি রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীচরের একমাত্র সরকারি হাসপাতালটি।
প্রায় ৫ একর জমির ওপর নির্মিত ৩১ শয্যার হাসাপাতালটি বাইরে থেকে ঝকে ঝকে লাগলেও চালু না থাকায় ভেতরে ময়লার স্তুপে পরিণত হচ্ছে। হাসাপাতাল এলাকা সংরক্ষিত থাকার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
স্বল্প পরিসরে চিকিৎসা সেবা চালু থাকলেও আছে প্রয়োজনীয় ডাক্তার এবং ঔষধের অভাব। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট কিছু না বললেও কর্তা ব্যক্তিদের দায়িত্বহীনতাকে দুষলেন।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন, যে জনবল নিয়োগের দরকরার ছিলো। পাশাপাশি যন্ত্রপাতি কেনার দরকার ছিলো তা কোন কারণে হচ্ছে না তা আমরা বলতে পারছিনা।
অভিযোগের কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি হাসাপাতালটির দায়িত্বে থাকা আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা।
কামরাঙ্গীচর হাসপাতালের আবাসিক প্রতিনিধি ডা.খান মুহম্মদ জহীর উদ্দিন জানান, এখন পর্যন্ত কাগজ পত্র মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে। সিভিল সার্জন এ ব্যপারে উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে কথা বলছেন।
দ্রুত হাসাপাতালটি উদ্বোধন করে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার দাবি এলাকাবাসীর।