বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনে অংশ হিসেবে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) বাংলাদেশ কনস্যুলেট। এ অনুষ্ঠানে সহযোগিতায় ছিল নর্দান আমিরাত, বাংলাদেশের বণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ কনস্যুলেটের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আরব আমিরাতের রাজপরিবারের প্রিন্সেস ফুতাইম বিনতে মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাখতুম, বাহরাইনের প্রিন্স শেখ খালিফা বিন মুবারক আল খালিফা, মালাক্কা প্রদেশের তুনসেরির গভর্নর ডা. হাজী মোহাম্মদ আলী মোহাম্মদ রুস্তম, বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী, দেশটির বাংলাদেশ অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ আবু জাফর, কনস্যুল জেনারেল বিএম জামাল হোসাইনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ। এছাড়াও দুবাই এর রাজ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানটিতে।
বাংলাদেশের ৫০ জনসহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকজন জন শিল্পী ও কলা কুশলী এ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। সাদিয়া ইসলাম মৌ’র কোরিওগ্রাফিতে বেশ কয়েকজন নৃত্যশিল্পীর পরিবেশনার মধ্য অনুষ্ঠানটির সূচনা হয়। বাংলাদেশ ও ইউএই’র গানের থিমের সাথে নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উপস্থিত প্রায় ১৫ হাজার দর্শক শ্রোতার মাঝে মুগ্ধতা ছড়ানো হয়। এ অনুষ্ঠানে কন্ঠশিল্পী মমতাজ ও ফেরদৌসসহ অন্যান্য শিল্পীরা তাদের পরিবেশনা নিয়ে উপস্থিত হন।
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল বিএম জামাল হোসাইন বাংলাদেশ ও ইউএই’র সরকার ও জনগনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। তাদের মাধ্যমেই দুটি দেশের মধ্যে সু-সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বাংলাদেশের জনগনের জন্য দ্বিতীয় আবাস স্থলের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য দেশটির সরকার ও জনগনের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত দেশ দুটি সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধের সম্পর্কে সম্পর্কিত। দুই দেশের জনগণই অনেক ভাগ্যবান। কারণ দুটি দেশই তাদের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতার নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ গড়ায় বঙ্গবন্ধুর অবদানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এছাড়া স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেবার মতো সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ইউএই’র মহান নেতা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করা হয় অনুষ্ঠানে।
বর্তমানে দেশটিতে ১০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক অনাবাসিকভাবে বসবাস, কাজ ও ব্যবসা করে আসছে। তারা বাংলাদেশ ও ইউএই’র অর্থনীতিতে ব্যাপকভাবে প্রভাব রাখছে। দেশটি থেকে প্রতি বছর ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিটেন্স আসে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশের বিজয় অর্জনের সমসাময়িক সময়ে সংযুক্ত আরব স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বর দেশটি স্বাধীন হয়।