ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক।
সোমবার রাতে রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালাম এলাকার একটি বাসা থেকে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম।
এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।
বাছিরকে গ্রেপ্তারের জন্য দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম রাজধানীর শাহজাহানপুর ও আজিমপুরে তিন দফা অভিযান চালিয়েছিল।
এর আগে বুধবার পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুদকের বরখাস্তকৃত পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেন মামলার তদন্তে দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যাকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়।
তার সঙ্গে তদন্ত টিমে যুক্ত করা হয় দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ও মো. সালাহউদ্দিনকে।
দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই তারা বাছিরকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযানে নামেন। কিন্তু বাছিরকে খুঁজে পাননি। শাহজাহানপুরের সরকারি বাসায় তালা ঝুলতে দেখা যায়। তার স্ত্রী-কন্যাদেরও বাসায় পাওয়া যায়নি।
গত মঙ্গলবার দুদক থেকে ডিআইজি মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে ৪০ লাখ টাকা ঘুষের মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৮ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত। মামলাটি দায়েরের পরই এজাহারের কপি আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে, গত বছর নারী নির্যাতনের অভিযোগে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয় পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে। এরপর তার বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য প্রকাশ হলে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এই তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। তবে তদন্ত চলাকালেই প্রাপ্ত তথ্য অভিযুক্তের কাছে চালান করে দিয়ে আপসরফার মাধ্যমে দুই দফায় ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন তিনি। ডিআইজি মিজান নিজেই এমন অভিযোগ করেছেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে।