পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথা এনে দিতে পারলে ১১লাখ টাকা পুরষ্কার দেওয়া হবে বিজেপি যুবনেতা যোগেশ ভার্সেই এমন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বুধবার সংসদে শুরু হয় তুমুল হট্টগোল। রাজ্যসভায় সব দল বিজেপির এই যুবনেতার সমালোচনায় যোগ দেয়। তৃণমূলের পাশে দাড়িয়ে এদিন জয়া বচ্চনও যুবনেতাকে সমালোচনা ও হুশিয়ারি করে বলেন, তুমি গরুর নিরাপত্তা দিতে পারো কিন্তু নারীর না।
সমাজবাদী পার্টির এমপি জয়া বচ্চন বলেন, একজন নারী সর্ম্পকে কথা বলার সময় কিভাবে বলতে হয়,তা মনে হয় বিজেপি নেতাদের জানা নেই, আমরা শুধু গরুর নিরাপত্তা দিতে পারি কিন্তু নারীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারিনা। কেননা নারীরা বিভিন্ন নৃশংতার সম্মুখীন হচ্ছে।
তার এ্ই কথার পরে সবাই হইচই শুরু করলে তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে বলেন একজন নারী মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে এরকম নৃশংস মন্তব্য কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এই মন্তব্যের বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভি বলেন, কেউ এমন কথা বলে থাকলে সরকার তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কিন্তু তার কথায় বিরোধীরা শান্ত না হয়ে বিজেপি নেতার গ্রেফতারের দাবি জানান।
এই সময় বিজেপির রুপা গাঙ্গুলী পাল্টা আক্রমণ করে বলেন, আমি একজন নারী, আমি নিজে পুলিশের সামনে নানাভাবে আক্রান্তের শিকার হয়েছি। কিন্তু পুলিশ দর্শকের ভূমিকায় থেকেছে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই নারীদের নিরাপত্তা দিতে জানেন কি?
পার্লামেন্টেরিয়ান শুকেন্দু শেখর এই বিষয়টি সংসদে উপস্থাপন করলে সবাই এটার সমালোচনা করেন।তখন তিনি এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তোলেন।
কংগ্রেসম্যান মাল্লিকার্জুন কারেজ বলেন, এ্ই আচরণের বিরুদ্ধে সরকারকে একটা শক্তিশালী বার্তা পৌছে দেওয়া উচিৎ।
উল্লেখ্য বীরভূমতে হনুমান জয়ন্তীর র্যালীতে পুলিশের কঠোর অবস্থানের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির যুবনেতা যোগেশ ভার্সেই মমতাকে দায়ী করেন।পুলিশ যেভাবে মানুষের উপর লাঠি চার্য করেছে,অত্যাচার করেছে তার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে দৈত্য বলে অভিহিত করেন। এই ঘটনার জন্য তিনি মমতাকে দায়ী করে তার মাথার জন্য ১১ লাখ টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করেন।বিজেপি নেতা বলেন, যদি কেউ আমাকে মমতার মাথা এনে দিতে পারে তবে তিনি ১১ লাখ টাকা পুরষ্কার দিবেন।