বিশ্বজুড়ে ১৮ বছর বয়সী প্রতি ১০ জনের ৮ জনই বিশ্বাস করে, তরুণ প্রজন্ম অনলাইনে যৌন হয়রানি বা এ ধরণের আচরণের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। আবার ১০ জনের মধ্যে ৫ জনেরও বেশি মানুষের ধারণা, তাদের বন্ধুরা ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় ঝুঁকিপূর্ণ আচরণে অংশ নেয়।
ইউনিসেফের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
‘বিপদ ও সম্ভাবনাসমূহ: অনলাইনে বেড়ে ওঠা’ শীর্ষক ওই গবেষণার জন্য ২৫ টি দেশের ১০ হাজারেরও বেশি ১৮ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীর ওপর জরিপ চালানো হয়।
গবেষণায় ক্রমবর্ধমান যোগাযোগ প্রযুক্তির বিশ্বে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্ম যেসব ঝুঁকির মুখে পড়ছে, তা নিয়ে তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি উঠে এসেছে।
কিশোর-কিশোরীরা নিরাপত্তার ব্যাপারে নিজেদের সামর্থ্য নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বলে গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে। জরিপে অংশ সেয়া ৯০ শতাংশ ছেলেমেয়েরই বিশ্বাস, তারা অনলাইনে সম্ভাব্য সব রকম বিপদ এড়াতে পারে। প্রতি ১০ জনের প্রায় ৬ জনই জানিয়েছে, অনলাইনে নতুন কারও সঙ্গে মেশা তাদের কাছে হয় কিছুই না, অথবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু।
তবে ৩৬ শতাংশ জোরালোভাবে বিশ্বাস করে, অনলাইনে কেউ নিজের সম্পর্কে মিথ্যা কথা বললে তারা তা বুঝতে পারে। ৬৭ শতাংশ মেয়ে এবং ৪৭ শতাংশ ছেলে জানায়, ইন্টারনেটে যৌনতা বিষয়ক মন্তব্য বা অনুরোধ পেলে তারা অবশ্যই উদ্বিগ্ন হবে।
অনলাইনে এ ধরণের কোনো হুমকির মুখে বেশিরভাগ ছেলেমেয়েই বাবা-মা বা শিক্ষকের বদলে বন্ধুদের কাছে যায়। অথচ অর্ধেকেরও কম কিশোর-কিশোরী জোর দিয়ে বলতে পেরেছে, এসব পরিস্থিতি মোকাবেলায় বন্ধুকে সাহায্য করতে জানে তারা।
এ ব্যাপারে ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা বিষয়ক সহযোগী পরিচালক করনেলিয়াস উইলিয়ামস বলেন, তরুণদের তথ্যপ্রাপ্তিতে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন বিপ্লব নিয়ে এসেছে। তবে অনলাইনে ছেলেমেয়েদের হয়রানির সত্যতা গবেষণায় ফুটে উঠেছে।
তিনি বলেন, বিশ্বে প্রতি তিনজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর একজন শিশু। অনলাইনে সহিংসতা, শোষণ ও হয়রানির বিষয়গুলো তুলে ধরতে কিশোর-কিশোরীদের কণ্ঠকে আরও শক্তিশালী করা এবং শিশুরা যেন ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের সুফল পুরোপুরি পেতে পারে তা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ইউনিসেফ।