বাহামা দ্বীপপুঞ্জে হারিকেন ডোরিয়ানের আঘাতে সৃষ্ট বন্যা থেকে বাঁচতে সেখানকার কয়েকশ’ অধিবাসী এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। অনেককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এছাড়া বাহামার বিভিন্ন দ্বীপে আরও কয়েক হাজার অধিবাসী উদ্ধারের আশায় অপেক্ষা করে আছেন।
ঝড়ের প্রকোপে এ পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাহামার প্রধানমন্ত্রী হিউবার্ট মিনিস মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন।
গত সপ্তাহে পুরো বাহামা অঞ্চলে আঘাত হানে হারিকেন ডোরিয়ান। ঝড়ের তাণ্ডবে বেশকিছু দ্বীপ একেবারে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। দ্বীপপুঞ্জের অন্যান্য দ্বীপ এবং আশপাশের অঞ্চলগুলোও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরো অঞ্চলে দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়।
বিবিসি জানায়, নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আশায় শুক্রবার বাহামার গ্রেট আবাকো এবং গ্র্যান্ড বাহামার বন্দরে থেকে বন্যা দুর্গতদের প্রচণ্ড ভিড় দেখা যায়। এ দু’টো দ্বীপ ডোরিয়ানের আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওই সময় অনেকেই অভিযোগ জানান, উদ্ধার প্রক্রিয়া অনেক বেশি বিশৃঙ্খল এবং ধীরগতির।
ডোরিয়ানের প্রকোপে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনার একটি দ্বীওপে শত-শত মানুষ আটকে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ওকরাকোক দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় ডোরিয়ান আঘাত হানার সময় কমপক্ষে ৮শ’ মানুষ অবস্থান করছিলেন।
ডোরিয়ান শক্তিমত্তায় ক্যাটাগরি-১ ঝড়ের পর্যায়ে নেমে এলেও প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত আছে। এটি কানাডার নোভা স্কোশিয়া উপকূলে স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরে আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।