নানার নাম শেখ মুজিবুর রহমান, আর খালার নাম শেখ হাসিনা। রাজনৈতিক দীক্ষা পেতে এর বেশী আর কী দরকার? তাইতো কৈশোরে থাকতে না থাকতেই রাজনীতিতে নিজের নাম লিখিয়েছিলেন শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকী।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের লেবার পার্টিতে যোগ দেন টিউলিপ। শেখ রেহানা কন্যার রাজনীতির পথে হাঁটা তখন থেকেই শুরু। লন্ডনে জন্মগ্রহণ করলেও টিউলিপের ছোটবেলাটা কেটেছে বাংলাদেশ, ভারত ও স্পেনে। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন এবং কিংস কলেজ লন্ডন থেকে নিজের পড়াশোনার পাঠ শেষ করেন টিউলিপ।
২০০৬ সালের ইংল্যান্ডের উপ-নির্বাচনেও অংশ নেন টিউলিপ। কিন্তু সেইবার জয়ের মুখ দেখেননি তিনি। এরপর ২০১০ সালে কামডেন নির্বাচনে টিউলিপ প্রথম বাঙালী নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। সেখানে তিনি ২০১৪ সালের মে মাস পর্যন্ত কালচার ও কমিউনিটির কেবিনেট মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর একবার আন্তর্জাতিক প্রচারণাতেও অংশ নেন তিনি। ২০০৮ সালে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জন্যও প্রচারণা করেন তিনি।
২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নের নির্বাচনে জয়লাভ করেন টিউলিপ। ২৩,৯৭৭টি ভোট পেয়ে নির্বাচনে নিজের জয় নিশ্চিত করেন টিউলিপ।
২০১৫ সালের জুনে টিউলিপ সিদ্দিক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ এগেইনিস্ট এন্টিমিটিজমের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সেপ্টেম্বরে গিয়ে কালচার, মিডিয়া ও স্পোর্টসের শ্যাডো মিনিস্টারের স্থায়ী প্রাইভেট সেক্রেটারী নিযুক্ত হন।
এরপর এই বছরের নভেম্বরে পার্লামেন্টে টিউলিপের বক্তব্য বিবিসির সেরা সাত সংসদ সদস্যের বক্তব্যের একটি হয়।
২০১৩ সালে ১০০ শক্তিশালী ও অনুপ্রেরণাদায়ক বাংলাদেশী ব্রিটিশের একজন হন তিনি। এছাড়া সানডে টাইমস তাকে লেবার পার্টির ‘উঠতি তারকা’ হিসেবেও অভিহিত করেছে।