সিদ্ধান্তটা একরকম নেয়াই ছিল। মাশরাফি টি-টুয়েন্টির নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর তার আসনে বসতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এগিয়ে ছিলেন সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু বোর্ড সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার অপেক্ষা ছিল। শনিবার সেটিও এলো। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানালেন, ছোট ফরম্যাটের ক্রিকেটে মাশরাফির উত্তরসূরির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সাকিবকে।
শনিবার বিসিবিতে নির্বাহী কমিটির ১৬তম সভায় সাকিবকে অধিনায়ক করার এই সিদ্ধান্ত আসে। সভা শেষে বিসিবি বস নাজমুল হাসান জানান, ‘সহ-অধিনায়ক থাকায় সাকিবই অগ্রাধিকার তালিকায় ছিল। মিটিংয়ে সেটির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এসেছে। সাকিবই আমাদের টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক।’
সামনে অনেকগুলো ওয়ানডের খেলা আছে বাংলাদেশের। টু-টুয়েন্টি ম্যাচ মাঠে গড়াবে আগামী জুলাইয়ে। সেসময় পূর্ণাঙ্গ সিরিজটি খেলতে বাংলাদেশে আসবে পাকিস্তান। সাকিবের দায়িত্বও শুরু হবে ওই সিরিজ থেকেই।
নাজমুল হাসান বলেন, ‘সামনে আমাদের টি-টুয়েন্টি নেই। পাকিস্তান আসলে পরের টি-টুয়েন্টি ম্যাচ। সাকিবকে এখনই অধিনায়ক করা হল। সে চিন্তা-ভাবনা গুছিয়ে নিতে পারবে।’
৫৯ টি-টুয়েন্টি খেলা সাকিব ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে মাশরাফির ডেপুটি ছিলেন। বিশ্বসেরা টাইগার অলরাউন্ডার এর আগেও অবশ্য পূর্ণ অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ থেকে ২০১১ সালের আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্বে দেয়ার অভিজ্ঞতা আছে তার।
গত শ্রীলঙ্কা সিরিজে টি-টুয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তারপর অধিনায়কের পদটি খালি হয়ে পড়ে। তবে ওয়ানডের নেতৃত্ব চালিয়ে যাবেন ম্যাশ। মুশফিকুর রহিম থাকছেন টেস্টের অধিনায়কত্বে। সাকিবের ঘোষণা আসার মধ্য দিয়ে তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়কের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ।