টাঙ্গাইলের লৌহজং নদী উদ্ধারে তৃতীয় দফায় উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে কর্তৃপক্ষ। প্রায় তিন বছর উদ্ধার কার্যক্রম স্থবির থাকার পর সরকারে নির্দেশনায় আবারও নদী উদ্ধারে নামে প্রশাসন।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে সমন্বিতভাবে নদী দখল করে গড়ে উঠা সাততলা বিশিষ্ট একটি ভবন উচ্ছেদের মধ্য দিয়ে এ নদী উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা হয়। বেলা বারোটার দিকে পৌর এলাকার ভেড়াডোমায় সভা আয়োজন করে এর উদ্বোধন করা হয়।
৫০ বছর পর ২০১৬ সালে ঘটা করে সমন্বিত উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে নদীর দুই তীর উদ্ধারে নামে কর্তৃপক্ষ। প্রায় দুই কিলোমিটার অংশের দু’পাড়ের অল্প কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর অজানা কারণে বন্ধ হয়ে লৌহজয় নদী উদ্ধার কর্মসূচি। পরে গেল মাসে আবার এ অভিযান শুরু করা হলে স্থানীয় পৌর মেয়রের বাধায় তা ভেস্তে যায়।
সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক নদীর দুই তীরের দশ মিটার বা ৩৩ ফিট করে দখলমুক্ত করার নির্দেশ থাকলেও মানবিক কারণ দেখিয়ে দুই তীরে ২০ ফিট করে অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঢালান শিবপুর থেকে মির্জাপুরের বংশাই নদী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ এক সময়ে খরস্রোতা এই লৌহজং নদী। নদীটি শহরের অংশেই বয়ে গেছে প্রায় ১০ কিলোমিটার। আর এই ১০ কিলোমিটার অংশের দু’পাশে হাজার হাজার বাড়িঘর ও অবৈধভাবে স্থাপনা গড়ে উঠায় দখল দূষণে বর্তমানে সরু নালায় পরিণতি লাভ করেছে। অথচ এক সময় এই নদী দিয়ে জাহাজ ও লঞ্চ চলতো শহরের আমঘাট পর্যন্ত। কলকাতা ও লন্ডনের সাথে নৌপথে বাণিজ্যিক যোগাযোগ রক্ষায় লৌহজং নদীর ছিলো অপরিসীম ভূমিকা।