টরন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযথ ও উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ৫০তম মহান বিজয় দিবস এবং জাতির পিতার শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে।
টরন্টোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ হাউসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করেন।
এরপর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে পরবর্তী অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ঢাকা থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিজয় দিবসের বার্তা পাঠ করা হয়। অতঃপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক পরিচালিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হয় এবং একই সাথে আগত অতিথিগণ এবং কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই শপথ গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে আগত টরন্টোতে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, কবি, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মহান বিজয় দিবসের ৫০ বছর পূর্তিতে ‘কেমন বাংলাদেশ প্রত্যাশা করেন’ তা ব্যক্ত করেন। সবাই একটি অসম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন উন্নত ‘সোনার বাংলার’ স্বপ্ন দেখেন বলে উল্লেখ করেন।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ আগত অতিথিদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
কনসাল জেনারেল জাতির পিতার ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।
তিনি এই ধারা অব্যাহত রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানের পর উদীচী সাংস্কৃতিক শিল্পীগোষ্ঠী অব কানাডা কর্তৃক একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং দিবসটি উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষে একাত্তরের শহীদদের ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকলের আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের অব্যাহত শান্তি ও অগ্রগতির জন্য বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, কবি, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, বিশিষ্ট বাংলাদেশীগণ এবং কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ উদযাপনে অংশগ্রহণ করেন।