সিলেটে বখাটে বদরুলের চাপাতির কোপে গুরুতর আহত খাদিজা আক্তার নার্গিসের খানিকটা জ্ঞান ফিরেছে। তবে তার শরীরের এক অংশ এখনও প্যারালাইজড হয়ে আছে। অনেকটা অবচেতন মনেই নার্গিস চোখ খুলছেন এবং বন্ধ করছেন বলে জানিয়েছেন স্কয়ার হাসপাতালের মেডিসিন এন্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের চিকিৎসক মির্জা নাজিম উদ্দীন।
তিনি আরো বলেছেন, শরীরের যন্ত্রণা বোঝাতে মুখ দিয়ে কোনো কথা না বললেও একধরনের শব্দ করছে নার্গিস। সেটা অনেকটা গোঙানির মতো শোনাচ্ছে। খাবার দিলে খাচ্ছে। কখনো নল দিয়ে আবার কখনো মুখে তুলে খাবার দেওয়া হচ্ছে। তার শরীরে এখনো পুরোপুরি চেতনা নাই। তবে কোমা থেকে বেরিয়ে এসেছেন নার্গিস।
বিগত কয়েকদিনে একটু উন্নতির দিকে রয়েছে নার্গিসের শারীরিক অবস্থা। ১০ অক্টোবর দুপুরে নার্গিসের প্যাসেকটমি করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় নার্গিসের মুখ থেকে অক্সিজেন নল সরিয়ে গলার সাথে সংযোগ দেয়া হয়। ১৮ অক্টোবর লাইফ সাপোর্ট সরিয়ে নেওয়ার পর শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার জন্য গলায় লাগানো কৃত্রিম নলও খুলে ফেলা হয়।
গত ৩রা অক্টোবর সিলেট মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বদরুল আলম। পরে তাকে স্থানীয়রা ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়।
৪ অক্টোবর থেকে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন নার্গিস। তার চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছে সরকার।