মার্কিন কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের একটি ডোজই নিরাপদ ও কার্যকর বলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রমাণিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা পর্যালোচনা শেষে এই তথ্য জানিয়েছে। এতে শিগগিরই এই ভ্যাকসিনের জরুরি অনুমোদন পাওয়ার পথ প্রশস্ত হলো।
ফাইজার ও মডার্নার ভ্যাকসিনের বেশ সাশ্রয়ী বিকল্প হবে এই ভ্যাকসিনটি। তাছাড়া এই ভ্যাকসিন ফ্রিজারে না রেখে সাধারণ রেফ্রিজারেটরেই ভালো রাখা সম্ভব।
গত মাসে ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশ করেছিলো জনসন অ্যান্ড জনসন। ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট জনসন অ্যান্ড জনসনের অধীনস্ত বেলজিয়ান প্রতিষ্ঠান জ্যানসেন জানিয়েছে, তথ্য বলছে তাদের পণ্য তীব্র অসুস্থতার বিরুদ্ধে কাজ করতে সক্ষম।
এফডিএ জ্যানসেনের দেওয়া বিস্তারিত তথ্যের সংক্ষিপ্তাংশ প্রকাশ করেছে। সারমর্মে এফডিএ জানিয়েছে, উপসর্গযুক্ত ও তীব্র অসুস্থতায় জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনের চেনা উপকার পাওয়া গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলে পরিচালিত পরীক্ষণের ফলাফলগুলিতে ভাইরাসের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবের বিরুদ্ধেও এটি একইভাবে বেশি বেশি কার্যকারিতা দেখিয়েছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলে ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে সামগ্রিক সুরক্ষা কম ছিল।
তথ্য বলছে এই ভ্যাকসিন তীব্র অসুস্থতা থেকে ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে সক্ষম। তবে যদি সাধারণ অসুস্থতাকেও ধরা হয় তাহলে সার্বিকভাবে এই কার্যকারিতা ৬৬ শতাংশ।
বিশেষ করে যারাই এই ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার খুবই কম। এমনকি ভ্যাকসিন নেওয়ার ২৮ দিন পরে থেকে হাসপাতালে ভর্তির পরিমাণও কমেছে।
এক ডোজের এই ভ্যাকসিনটি যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে এফডিএ’র প্যানেল শুক্রবার বৈঠকে বসবে। হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, অনুমোদন পেলে প্রশাসন পরের সপ্তাহেই ৩০ লাখ জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন বিতরণের প্রত্যাশা করছে।