চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সরকারের কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামি ১০ আগস্টের মধ্যে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে আদালতে এবিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি জেবিএম হাসানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন পল্লব। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম।
এর আগে গত ১৪ জুলাই পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড: আনিকা আলী এবং মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার মো: হুমায়ন কবির পল্লব রিটটি করেন। রিটে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য সচিব এবং সকল সিটি কর্পোরেশনের মেয়রসহ ১৬ জনকে বিবাদী করা হয়।
এই রিটের বিষয়ে ব্যারিস্টার মো: হুমায়ন কবির পল্লব চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, দেশে চিকিৎসা বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ) বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ গঠন, চিকিৎসা বর্জ্য পৃথকীকরণ, প্যাকেটজাতকরণ, পরিবহন ও মজুদ, চিকিৎসা বর্জ্য বিনষ্টকরণ এলাকা নির্ধারণ এবং সংশ্লিষ্ট মানদণ্ড অনুযায়ী চিকিৎসা বর্জ্য পরিশোধন, বিশোধন, অপসারণ এবং ভস্মীকরণ করার নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়ে। এরপর আজ রিটের শুনানিতে আদালতকে বলি, ঢাকাসহ সারাদেশে চিকিৎসা বর্জ্য উৎপাদনকারী হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিন কেবল ঢাকা শহরের বাইরেই ২০ টনের বেশি চিকিৎসা বর্জ্য তৈরি হয়। দেশে প্রতিনিয়ত বিপুল পরিমাণ চিকিৎসা বর্জ্য তৈরি হলেও পরিবেশ আইন এবং চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বিধিমালা অনুযায়ী সন্তোষজনক কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
তিনি বলেন, ফলশ্রুতিতে দেশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে এবং বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতির কারণে যেসব চিকিৎসা বর্জ্য উৎপাদিত হচ্ছে সেগুলোর ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে না করায় দেশে ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কাজেই সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরী। আদালত আমাদের বক্তব্য শুনার পর চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সরকারের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন এবং এ বিষয়ে আগামি ১২ অগাস্ট পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।