আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, চার দলীয় জোট সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় মুফতি হান্নানের নেতৃত্বে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিলো। আজ রবিবার আদালতে দেয়া সাক্ষ্যে তিনি এ কথা বলেন।
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার দু’শ ৫তম সাক্ষী আওয়ামী লীগের সে সময়ের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বর্তমান শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
আদালতে দেয়া সাক্ষ্যে তিনি জানান, ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগ এর সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় তিনিও আহত হয়ে দেশ বিদেশের কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, আমার শরীরে এখনো স্প্রিন্টার রয়েছে, সবগুলো উঠানো সম্ভব নয়।ডাক্তাররা বলেছেন পা থেকে স্প্রিন্টার তুলতে গেলে অনেক টিস্যু নষ্ট হয়ে যাবে, পা প্যারালাইস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই আর তুলি নি।
শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, সেদিন চারদলীয় সরকারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে মুফতি হান্নানের নেতৃত্বে ওই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে।যে প্রকৃত দোষী সেই যেন শাস্তি পায়।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করার জন্য তৎকালীন বিএনপি জামায়াত চারদলীয় জোটের প্রত্যক্ষ মদদে এবং তাদের সাহায্য সহযোগিতায় এবং পৃষ্ঠপোষকতায় হরকাতুল জিহাদ ও তাদের নেতা মুফতি হান্নান এই গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে ২৪ জনকে হত্যা করেছে।
সাক্ষ্য দেয়ার পর, মুফতি হান্নানের পক্ষে তার আইনজীবী আমির হোসেন আমুকে জেরা করেন। অন্য কেউ জেরা না করায় সোমবার পর্যন্ত সাক্ষগ্রহণ মূলতবি করেছেন আদালত।