বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের কাছ থেকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি আদায়ের ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
নিম্ন আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে গ্রামীণের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি আবদুল হাকিম ও ফাতেমা নজীবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ অন্তর্বর্তীকালীন এই আদেশ দেন। সেই সঙ্গে আগামী ৫ নভেম্বর এই আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া ও আইনজীবী তানিম হোসেইন। আর বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।
আজকের এই আদেশের ফলে দুই মাসের মধ্যে গ্রামীণফোনের কাছ থেকে বিটিআরসি তাদের দাবি করা অর্থ আদায় করতে পারবে না বলে জানিয়েছে গ্রামীণফোনের আইনজীবী তানিম হোসেইন।
এর আগে বিভিন্ন খাতে প্রাপ্য হিসাবে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি করে গ্রামীণফোনকে গত ২ এপ্রিল চিঠি দেয় বিটিআরসি। এই চিঠির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অর্থ আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গ্রামীণফোন নিম্ন আদালতে একটি মামলা করে। এরপর গত ২৮ আগস্ট নিম্ন আদালত গ্রামীণের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন না মঞ্জুর করেন। পরে এই নামঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে গ্রামীণফোন। সেই আপিলের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আজ অন্তর্বর্তীকালীন এই আদেশ দেন।