খাগড়াছড়িতে বৈরি আবহাওয়ায় কারনে এ বছর আমের ফলন কম হয়েছে। গত বছর এ জেলায় বিষমুক্ত ও সুস্বাদু রুপালি আমের ফলন ভাল হয়েছিল। কিন্তু এবার চিত্র সম্পূর্ন ভিন্ন। অধিকাংশ গাছেই আমের দেখা নেই।
এ অবস্থায় মৌসুম শেষে উৎপাদন খরচ তুলতে পারলে খুশি আম চাষীরা।
খাগড়াছড়ির এক আম চাষী বলেন, এবার খরচের পরিমান বেশি ও আশানুরুপ ফলন হয় নাই বলে ক্ষতি হবে।
খাগড়াছড়িতে আম চাষীর সংখ্যা ছয় হাজার। রুপালী বাগানে সাথী ফসল হিসেবে অন্যান্য ফসলও চাষ করছেন কৃষক । বাজার ব্যবস্থাপনা ভাল না থাকায় আমের দাম পাওয়া যাচ্ছে না বলে মনে করেন চাষীরা। খাগড়াছড়ির আম চাষী বলেন, সার কীটনাশকসহ সব কিছুর দাম বেশি সেই সাথে ভাল ফলন না হওয়ার কারনে বাগান মালিকরা ক্ষতিগ্রস্থ।
কয়েক বছর ধরে জেলার পাহাড়ি উঁচু জমিতে উন্নতজাতের রুপালী আমের পাশাপাশি রাংগুয়া, হিমসাগর, রতা, মল্লিকা, গোপালভোগ জাতের চাষ হচ্ছে। খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক যুগল পদ দে চ্যানেল আইকে বলেন, এ বছর প্রায় ৬০ শতাংশ বাগানে ফুল এসেছে, ফল হয়েছে। কিন্ত ফলন কম হওয়ার কারন হিসেবে আমরা মনেকরি তা জলবায়ু ও আবহাওয়াগত।
চলতি বছর খাগড়াছড়িতে সরকারি বেসরকারি মিলে দু’হাজার সাত’শ ৯৬ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। গত বছরের চেয়ে যা পাঁচশো’ হেক্টর বেশি। গত কয়েক বছর ধরে পাহাড়ি পতিত জমিতে বাণিজ্যিকভিত্তিতে উন্নতজাতের মিষ্টি রুপালি আমের চাষ শুরু হয়েছে। তবে এ বছর আমের উৎপাদন কতটা লাভজনক হবে তা নিয়ে শঙ্কিত কৃষকরা।