ক্ষমতা, উন্নয়ন ও সত্যিকারের পরিবর্তনের সাথে নারীকে যুক্ত করতে হলে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন দরকার বলে মন্তব্য করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেন, শুধু তার দেশেই নয়, সারা বিশ্বে নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করতে চাই।
সোমবার স্থানীয় সময় বিকেলে বিশ্বের বৃহত্তম নারী অধিকারবিষয়ক উইমেন ডেলিভার কনফারেন্স-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাস্টিন ট্রুডো বলেন, নারীদের অগ্রগতি হোঁচট খেতে পারে। আমরা এমন হতে দেখছি। লিঙ্গ সমতার বিষয়টি এখন আক্রান্ত। সামনের সারিতে থেকে একজন নারীবাদী হওয়া কতটা কঠিন তা আমি কল্পনা করতে পারি।নারী-শিশু-তরুণের সক্ষমতা বাড়াতে বাজেট বরাদ্দের পাশাপাশি কেবিনেটে নারীর ক্ষমতায়ন জরুরি।
তিনি বলেন, আমরা নারী অধিকারের শক্তিশালী কণ্ঠস্বর, দৃঢ়চেতা মিত্র হবো। এই লড়াইয়ের জনপ্রিয়তা যখন তুঙ্গে থাকবে শুধুমাত্র তখন নয়, বরং সর্বদা শর্তহীনভাবে আমাদের এই সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
ট্রুডো বলেন, আমরা জানি, আমরা পা দিয়ে প্যাডেল চালানো থামাতে পারবো না। তার সরকার সবসময় লিঙ্গ সমতা আন্দোলনের অংশীদার হবে বলেও জানান তিনি। ট্রুডো বলেন, আমরা উইমেন ডেলিভারের সম্মেলনে এসেছি, কারণ আমরা একটি সুন্দর ভবিষ্যতে বিশ্বাস করি।
নারী-শিশু-তরুণের অধিকার এবং মানবাধিকারের স্বীকৃিত ও সমতার প্রশ্নে বিশ্বের সবচেযে বড় জমায়েত ওমেন ডেলিভার কনফারেন্স ২০১৯। তাই বিশ্বের ১শ’৬৫টি দেশ থেকে আসা প্রতিনিধিদের সরব অংশগ্রহণে মুখরিত ভ্যাংকুভার কনফারেন্স সেন্টার।
কনফারেন্সর বিশদ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করে ওমেন ডেলিভার কর্তৃপক্ষ। এতে ২৫ বছর আগে মিশরের কায়রো সম্মেলনে নেয়া জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক আইসিপিডির আলোকে উন্নয়ন কৌশলের ২৫ বছরের অগ্রগতি মুল্যায়ন করা হয়।
সব কৌশলের আলোকে নেয়া সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্য যতোটা পূরণ হয়েছে তার ভিত্তিতে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য এ কনফারেন্সের মূল আলোচ্য বিষয়।
পরে এক মুক্ত আলোচনায় বসেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। কেনিয়া, ঘানা এবং ইথিওপিয়ার প্রেসিডেন্ট নারী-শিশু-তরুণের উন্নয়নে নিজ দেশ ছাড়াও সকল রাষ্ট্রের করণীয় তুলে ধরেন।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: