নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে হামলার ঘটনায় পর দেশটিতে বিক্রিত সব সেমি অটোমেটিক বন্দুক হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
শনিবার প্রথম দিনে দেশব্যাপী প্রায় ২৫০টি বন্দুক সংগ্রহ করা হয়। ইতিমধ্যে প্রায় ২২৪টি অস্ত্র হস্তান্তর করায় এক অস্ত্রকারখানার মালিককে সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।
দেশটির পুলিশের পক্ষ থেকে মাইক জনসন বলেন, সেমি অটোমেটিক বন্দুক নিষিদ্ধ করার পর সবার মধ্যে এক ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে। অস্ত্র হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে জনগণ তাদের অস্ত্র ফিরিয়ে দেয়ার মাধ্যম পেয়েছে।
ক্যানটারবেরি অঞ্চলেই প্রায় ৯‘শ অস্ত্রের মালিক অস্ত্র হস্তান্তর করতে সরকারের কাছে রেজিস্টেশন করেছে। যাদের কাছে অস্ত্র আছে প্রায় ১৪‘শ ১৫টি।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে হামলার পর সেমি অটোমেটিক সকল বন্দুক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির সরকার।
সেমি অটোমেটিক বন্দুকের মালিকদের কাছ থেকে অস্ত্র কেনার ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রায় ২ কোটি ৮০ লাখ মিলিয়ন ডলার একটি বাইব্যাক প্রকল্প চালু করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে।
নতুন অস্ত্র নিষিদ্ধে আইনানুসারে সকল সেমি অটোমেটিক মিলিটারি অস্ত্র, অস্ত্রের যন্ত্রপাতি এবং সকল আগ্নেয়াস্ত্র কারখানা নিষিদ্ধ করা হয়।
নতুন এ প্রকল্পে নিষিদ্ধ অস্ত্রের মালিকদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাদের অস্ত্রের দামের ৯৫ শতাংশ দেয়ার কথা জানানো হয়।
পুলিশ ধারণা, প্রায় ১৪ হাজার ৩০০ মিলিটারি সেমি অটোমেটিক অস্ত্র সংগ্রহ করা যাবে। এ প্রকল্প চালু হওয়ার আগেই প্রায় ৭০০ অস্ত্র হস্তান্তর করা হয়। ইতিমধ্যে অস্ত্র হস্তান্তর করতে পুলিশের কাছে আরোও প্রায় ৫ হাজার দরখাস্ত জমা পড়ে।
গত ১৫ মার্চ স্বঘোষিত শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী ২৮ বছর বয়সী ট্যারান্ট ক্রাইস্টচার্চের আল নূর এবং লিনউড মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর অতর্কিতে বন্দুক হামলা চালান। ওই হামলায় নিহত হয় ৫০ জন মানুষ। আহত হন আরো অন্তত ৪৭ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও ছিলেন।