বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ডিজিজ বা কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়িয়েছে। এরই মধ্যে সারাবিশ্বে ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার ২১৬ জনের।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাব মতে, শুক্রবার পর্যন্ত সারাবিশ্বে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪০ লাখ ১২ হাজার ৮২৭ জনের।
এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ২১২ দেশ ও অঞ্চলে। এতে সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশ এখন যুক্তরাষ্ট্র। আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের ভয়াবহতা সবচেয়ে বেশি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৩ লাখের বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৭৮ হাজারের বেশি মারা গেছে।
তবে আক্রান্ত বেশি হওয়ায় সবচেয়ে বেশি সুস্থও হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সংখ্যা ২ লাখ ২৩ হাজার ৬০৩ জন। এরপর স্পেনে ১ লাখ ৬৮ হাজার। আর জার্মানিতে ১ লাখ ৪১ হাজার মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে স্পেনে ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি। আক্রান্তদের মধ্যে ২৬ হাজার ২৯৯ জন মারা গেছে। স্পেনের পরই ইতালির অবস্থান।দেশটিতে করোনা শনাক্ত রোগী ২ লাখ ১৭ হাজার ১৮৫জন। মারা গেছে ৩০ হাজার ২০১ জন।
যুক্তরাজ্যেও মৃত্যু ৩১ হাজার ছাড়িয়েছে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ১১ হাজার।
কোভিড-১৯ শনাক্ত রোগীর দিক দিয়ে রাশিয়ার অবস্থান পঞ্চম। সেখানে শনাক্ত ১ লাখ ৮৭ হাজারের বেশি রোগীর ১ হাজার ৭২৩ জন মারা গেছে। এছাড়াও ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭৬ হাজারের বেশি মানুষ। দেশটিতে প্রাণহানির সংখ্যা ২৬ হাজার ২৩০। জার্মানিতে মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ৫০০ প্রায়।
আক্রান্তের সংখ্যায় এরপরই রয়েছে ব্রাজিল ও তুরস্ক। ব্রাজিলে আক্রান্ত ১ লাখ ৪৫ হাজারের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার ১৯৯ জন মারা গেছে। এবং তুরস্কে আক্রান্ত ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫৬৯ কোভিড-১৯ রোগীর মধ্যে ৩ হাজার ৬৮৯ জন মারা গেছেন। ইরানের শনাক্ত রোগীর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। দেশটিতে সরকারিভাবে ৬ হাজার ৫৪১ মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে।
এছাড়াও মৃত্যুর তালিকায় উপরে থাকা দেশগুলো যথাক্রমে সুইডেন ৩ হাজার ১৭৫, আয়ারল্যান্ড ১ হাজার ২৯, সুইজারল্যান্ড ১ হাজার ৮১০, ইকুয়েডর ১ হাজার ৬৫৪, ইন্দোনেশিয়া ৯৪৩ জন।
নতুন এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ইবোলার ওষুধ রেমডেসিভি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পরে করোনাভাইরাস। পরে তা মহামারী রূপ ধারণ করে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।