চট্টগ্রাম থেকে: বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন দেশি কোচদের সঙ্গে বিদেশিদের পার্থক্য আকাশ-পাতাল। তার এমন কথার সঙ্গে একমত নন খালেদ মাহমুদ সুজন। বিসিবি পরিচালক, কোচ ও সাবেক এ অধিনায়কের মতে স্কিলের দিক থেকে পিছিয়ে নেই দেশের কোচরাও।
বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ চার্লস ল্যাঙ্গাভেল্ট নিজ দেশের হয়ে কাজ করার ডাক পাওয়ায় কোচ ইস্যু আবারও এসেছে আলোচনায়। এ প্রোটিয়ার বিকল্প কে হবেন সেটি নিয়ে যখন নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে বিসিবি, তখন খালেদ মাহমুদ বললেন, দেশের যারা ভালো কোচ আছে বোর্ডের উচিত তাদের সুযোগ বাড়ানো।
‘পাপন ভাই কেনো বলেছেন (দেশি-বিদেশি কোচের তুলনা) জানি না। আমি মনে করি না স্কিলের দিক থেকে আমরা পিছিয়ে আছি। ক্রিকেট আসলে এমন টেকনিক্যাল একটা খেলা যেখানে কাভার ড্রাইভ, স্কয়ার কাট যখন কেউ মারবে সবাই একই টেকনিক অনুসরণ করবে। সব ব্যাটসম্যান মারে, কেউ কিন্তু অন্যভাবে মারতে পারবে না। হতে পারে উনি হয়ত বোঝাতে চেয়েছেন কাগজে-কলমে আমরা পিছিয়ে আছি।’
‘হতে পারে ম্যাচের পরিকল্পনায় বিদেশিরা এগিয়ে, কিন্তু আমাদের স্থানীয়রা যথেষ্ট ভালো কাজ করছে। স্কিলের দিক থেকে মনে করি না কেউ পিছিয়ে আছি আমরা। আমাদের স্কিল জানা আছে। কাজের সুযোগ পাচ্ছি না।’
‘একজন কোচকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? একটা সিরিজ দিয়ে তো যাচাই করতে পারেন না। বাংলাদেশ টিম যদি অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলে, আপনি কি একটা কোচকে মূল্যায়ন করতে পারবেন? একটা বড় সময় কাজ করলে বুঝতে পারবেন। আমাদের দল কেমন, কাদের বিপক্ষে খেলছেন, কোন কন্ডিশনে খেলছেন, সবকিছুই গুরুত্বপূর্ণ কোচের জন্য। একজন কোচ নিয়োগ দিয়ে তার উপর বিশ্বাস রাখাটা খুব জরুরী এবং তাকে সময় দেয়া উচিত।’
বিদেশি কোচ নিয়োগের মাঝে ফাঁকা সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব সামলেছেন খালেদ মাহমুদ। একটা সিরিজে ছিলেন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। আরেকবার হেড কোচ। পরে আর দেখা যায়নি তাকে।
ল্যাঙ্গাভেল্টের জায়গায় যদি পেস বোলিং কোচ হিসেবে ডাক পান দায়িত্বটা লুফে নেবেন বলেই জানালেন সুজন। তবে কাজটা পেতে চান দীর্ঘমেয়াদে।
‘সুযোগ পেলে তো সবাই আগ্রহী হবে। আমার পেশা কোচিং, আগ্রহের ব্যাপার অবশ্যই আছে। আগেও দুইবার বাংলাদেশের হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি। বলাই ছিল যে একটা সময়সীমার জন্য। পরে যখন বাদ পড়ি কিংবা ফলাফল খারাপ হয়, তখন খারাপ লাগে। আগেও বলেছিলাম দীর্ঘমেয়াদের জন্য করলে ভালো। স্বল্পমেয়াদে জন্য একটা সফরে দলটাকে গোছানো কঠিন।’
বিপিএলে আগের সব আসরে কোচ হিসেবে দেখা গেলেও খালেদ মাহমুদ এবার টিম ডিরেক্টর। বোর্ড পরিচালকদের সাতটি দলের সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয়েছে। তিনি আছেন মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইগার্সে। প্রথম দুম্যাচেই জিতেছে তার দল। বুধবার দলটির ছিল না দলীয় অনুশীলন। ঐচ্ছিক অনুশীলনে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে আসেন সাইফ হাসান। এ ব্যাটসম্যানের সঙ্গে ছিলেন সুজনও। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন।