- কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনের ফাইলে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই কিছুক্ষণের মধ্যেই মুক্তি পেতে যাচ্ছেন বিএনপি নেত্রী।
বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ কথা জানান।
এরআগে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রাজধানীর গুলশানে তার অফিসে এক সংবাদ সম্মেলন করে জানান, ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় এবং মানবিক কারণে তাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘‘পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে তার বয়স বিবেচনায় ও মানবিক কারনে ফৌজধারী কার্যবিধির ৪০১ ধারায় দণ্ড স্থগিত করে ৬ মাসের জন্য নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া এবং বিদেশে না যাওয়ার শর্তে জামিন দিতে আমি মতামত দিয়েছি। সেই মতামত ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি বাস্তবায়ন করবেন।’’
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা লেনদেনের অভিযোগে বেগম খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
এই মামলায় ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে এই মামলায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
মামলার বাকি সব আসামিকেও একই সাজা দেয়া হয় এবং ট্রাস্টের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের ঘোষণা করেন আদালত।
এই মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করলে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এরপর সে খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে জামিন চান খালেদা জিয়া। তবে গত ১২ ডিসেম্বর দেশের সর্বোচ্চ আদালত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। তবে খালদা জিয়া চাইলে তার সম্মতিতে ‘অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্ট’ দিতে বলা হয়।
এই জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আপিল বিভাগে ২১০ মিনিটের ‘নজিরবিহীন’ হট্টগোল হয়। ওই হট্টগোলের প্রেক্ষাপটে প্রধান বিচারপতির আদালত কক্ষে পরবর্তীতে ৮টি সিসি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরা বসানো হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের সাজার রায় ঘোষণার পর বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়া হয়।