আলবার্টায় প্রফেশনাল থিয়েটারের মর্যাদা পাওয়া ও নাট্যচর্চারমাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক ইস্যু নিয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে মুক্তবিহঙ্গ।
কানাডার ক্যালগারির নাট্যগোষ্ঠী “মুক্তবিহঙ্গ” ইতিমধ্যে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে নাটক ও তাদের কার্যক্রম দিয়ে। মানবসেবার প্রত্যয় নিয়ে ক্যালগারির একদল বাংলাদেশী তরুণ মুক্তবিহঙ্গ নামে থিয়েটারের মাধ্যমে প্রতি বছর নতুন নতুন প্রযোজনা মঞ্চে নিয়ে আসছে। এই মঞ্চায়নের সমগ্র অর্থ তারা দান করছে বাংলাদেশের পথশিশু মায়ের অচল এবং বাংলাদেশের অটিস্টিক সোসাইটিকে ।
ইতিমধ্যে তারা বাংলাদেশের এসব সংস্থাকে আড়াই লাখ টাকা দিয়েছে। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ বছর তারা মঞ্চে নিয়ে আসছে নতুন প্রযোজনা, যার সমুদয় অর্থ চলে যাবে বাংলদেশের বঞ্চিত শিশুদের সাহায্যার্থে।
মুক্তবিহঙ্গ সাংবাদিক সম্মেলনে তাদের বার্ষিক কার্যক্রম তুলে ধরে। সেখানে উল্লেখ করে তাদের কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে ইতিমধ্যেই তারা প্রোফেশনাল থিয়েটার এর মর্যাদা পেয়েছে। এ বছর পঞ্চম প্রযোজনা থেকে সংগৃহিত অর্থ প্রদান করা হবে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য।
এছাড়াও তারা প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে সামাজিক সচেতনতা মূলক কিছু কাজ করার আগ্ৰহ প্রকাশ করে। সাংবাদিক সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তবিহঙ্গের প্রতিষ্ঠাতা জাহিদ হক ও সদস্য মৌ ইসলাম, অভিজিৎ সাহা, অনন্যা বিশ্বাস ও তাশফীন হোসেন।
সংগঠনটির সাথে ক্যালগারির অটিজম সোসাইটিও কাজ করছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য নাট্য চর্চার মাধ্যমে প্রচুর পরিমানে সামাজিক সচেতনতা তৈরি করা যা মানুষিক স্বাস্থ্য সচেতন ও সংবেদনশীল মানুষ হতে সহায়ক।
একটি প্রশ্নের জবাবে জাহিদ হক বলেন আমাদের প্রথম থেকেই পরিকল্পনা ছিল নাট্যচর্চার মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতা তৈরী করা, আর সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এক প্রশ্নের জবাবে অভিজিৎ সাহা বলেন নাটক শুধু বিনোদনই নয়, নাটকের মাধ্যমে অনেক কিছুই করা যায়।
পরে মুক্তবিহঙ্গের সদস্য তাশফীন হোসেনের বাবা – মা বাংলাদেশের প্রথিতযশা ও স্বনামধন্য নাট্যজন জামালউদ্দীন হোসেন, রওশন আরা হোসেন মুক্তবিহঙ্গের নতুন নাটকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করে মুক্তবিহঙ্গের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।