৭ ফেব্রুয়ারি রাতে কানাডায়, লুটেরা বিরোধী মঞ্চ কানাডার আহ্বানে “বেগমপাড়া ও লুটেরা বিরোধী আন্দোলনের দ্বিতীয় বার্ষিকী ও দুর্নীতি-অর্থপাচার রোধে প্রবাসীদের করণীয়” বিষয়ক এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় বেগমপাড়া ও লুটেরা বিরোধী আন্দোলকে কিভাবে অগ্রসর করা যায় এবং এ আন্দোলনকে শুধু কানাডায় নয়, বিশ্বের যেসব দেশে অর্থ পাচার হয় সেখানকার নাগরিকদেরকেও কানাডার এই উদাহরণ অনুসরণ করে এগিয়ে আসতে ও সোচ্চার হবার আহ্বান জানানো হয়।
এই সভায় অতিথি আলোচক হিসেবে উপস্তিত ছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ রাশেদ খান মেনন, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম এম আকাশ। সভায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন ও সঞ্চালনা করেন লেখক, গবেষক ও সাবেক ছাত্রনেতা ড. মঞ্জুরে খোদা টরিক।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ প্রবাসী আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের এই আন্দোলন দেশের ভাবমূর্তির কোন ক্ষতি করেনি বরং এ আন্দোলন দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হলে বর্তমান কাঠামোয় অর্থসম্পদ পাচার, দুর্নীতি-অনিয়ম লুটপাট বন্ধ করা কঠিন।
এম এম আকাশ দুর্নীতি-অর্থপাচার ও বেগমপাড়া বিরোধী কানাডার এ আন্দোলনের প্রশংসা করে বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে যে কাজটি করতে পারিনি, কানাডার প্রবাসীরা সে কাজটি করেছেন।
বক্তারা আরও বলেন, প্রায়ই সংবাদপত্রে অর্থপাচারের সংবাদ আসে। সরকারকে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। যে সব বিত্তশালী ও ক্ষমতাবান বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করে, জনগণকে পথে বসিয়ে- দেশ থেকে অর্থসম্পদ বিদেশে পাচার করে প্রজন্মের সুখে ও নিরাপদে থাকতে চায় তাদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে।