কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৫২৭তম দিনে দেশে ১৯৮ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৫৪৭ জন।এর আগে ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়।
এই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন সাত হাজার ৫৩৫ জন রোগী। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৩৯ হাজার ২৭৮ নমুনা পরীক্ষায় সাত হাজার ৫৩৫ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ১৮ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৬২ লাখ ৭৫ হাজার ৮৫৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২২ লাখ চার হাজার ৯৫৭টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ৮১৪টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ৩৯৬ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৯৫০ জনসহ মোট ১৩ লাখ ১৪ হাজার ৯১৬ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৯৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ১১৬ জন পুরুষ ও ৮২ জন নারী। তাদের মধ্যে ১৯২ জনের হাসপাতালে (সরকারিতে ১৫১ জন, বেসরকারিতে ৪১ জন) ও বাড়িতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও মৃত অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৪ হাজার ৫৪৭ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭১ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২১ হাজার তিনজন, যার শতকরা হার ৮৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন দুই হাজার ৮০৪ জন, যার শতকরা হার ১১ দশমিক ৪২ শতাংশ। বাসায় ৭০৭ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৮৮। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৩৩ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ১৪৯ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং আট হাজার ৩৯৮ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৪ দশমিক ২১ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৯৮ জনের মধ্যে এগারো থেকে বিশ বয়সী একজন, একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী নয়জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১১ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৯ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪১ জন, ষাটোর্ধ্ব ৬৯ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৩৪ জন, আশি উর্ধ্ব ১২ জন ও নব্বই উর্ধ্ব দু’জন।
আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৭২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫২ জন, রাজশাহী বিভাগে নয়জন, খুলনা বিভাগে ২৬ জন, বরিশাল বিভাগে সাতজন, সিলেট বিভাগে ১৮ জন, রংপুর বিভাগে ছয়জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে আটজন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২০ কোটি ৮৮ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৩ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৮ কোটি ৭২ লাখের বেশি।