ময়মনসিংহের সাহিত্য অঙ্গণের পুরোধাপুরুষ কবি মুশাররাফ করিমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার বাদ জোহর ময়মনসিংহের চরপাড়ায় জামিয়া ইসলামিয়া মাঠে তার জানাজার নামাজ শেষে ভাটিকাশর পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং আত্মীয়-স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে শনিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদের নির্বাহী সদস্য কবি শামীম আশরাফ বিষয়টি নিশ্চিত করে চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘কবি মুশাররাফ করিম দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। সম্প্রতি তার পায়ের দুইটি আঙুল অস্ত্রোপচার করে অপসারণ করা হয়েছিল।’
কবির পারিবারিক সূত্র জানায়, মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও একমাত্র কন্যা, জামাতা, দুই নাতি, এক ভাই ও বোনসহ বহু আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।
গত ৯ জানুয়ারি ছিল তার ৭৫তম জন্মদিন। সেদিন কবির শুভাকাঙ্ক্ষীরা তার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
কবি মুশাররাফ করিম ষাটের দশকের আইয়ূববিরোধী আন্দোলনে স্বক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এছাড়াও তিনি ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদের প্রতিষ্ঠাতা ও নেত্রকোনার বিরিশিরির উপ-জাতীয় কালচারাল একাডেমির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দৈনিক দিনকালের সাবেক মফস্বল সম্পাদক ছিলেন এবংবাংলা একাডেমি পুরষ্কার পান।
মুশাররাফ করিমের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ: ‘কোথায় সেই দীর্ঘ দেবদারু’, ‘ঘাসের দগায় হলুদ ফড়িঙ’, ‘পাথরের পথে’, ‘সে নয় সুন্দরী শিরিন’ ইত্যাদি।
তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস: ‘পূর্ব-পুরুষগণ’, ‘প্রথম বৃষ্টি’ ইত্যাদি।