কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নারী-শিশু পর্যটকদের জন্য সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণার ১০ ঘণ্টা পর আবার তা বাতিল ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
বুধবার রাতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘নারী ও শিশুদের জন্য বিশেষ সংরক্ষিত অঞ্চল’ বাতিলের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার কারণেই অনেকটা বাধ্য হয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
এর আগে বুধবার দুপুরে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে নারী ও শিশুদের বিশেষায়িত অঞ্চল উদ্বোধন করেছিলেন জেলা প্রশাসক মামুনর রশীদ।
জেলা প্রশাসক কর্তৃক নারী শিশুদের জন্য বিশেষ সংখ্যা কিছু এলাকা ঘোষণার সংবাদটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমূল আলোচিত হতে থাকে।
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বিরূপ প্রতিক্রিয়া দিতে থাকে এ বিশেষ সংরক্ষিত এলাকা নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই অবস্থা দেখে নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। শেষ পর্যন্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশিদ সিনিয়র কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করে এটি বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যেমে বাতিলের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক মামুনর রশীদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান: পর্যটকদের মতামতের উপর সবসময় জেলা প্রশাসন শ্রদ্ধাশীল। সুতরাং সম্মানিত পর্যটকদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে নারী ও শিশুদের জন্য এক্সক্লুসিভ জোন চালু রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হল।
বুধবার সৈকতের লাবণী পয়েন্টের বালিয়াড়ির এলাকায় অন্তত দেড়শ মিটার জায়গাজুড়ে দুই পাশে সাইনবোর্ড ও গোলাপী রঙের পতাকা চিহ্নিত করে ‘নারী ও শিশুদের জন্য সংরক্ষিত বিশেষ এলাকা বলে ঘোষণা করা হয়। যেখানে শুধু নারী ও শিশুদের প্রবেশাধিকার থাকবে বলা হয়েছিল।
এ আগে ২০১৮ সালের ৪ জানুয়ারি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নারীদের জন্য বিশেষ অঞ্চল চালু করা হয়েছিল। পরে সেটা ও বন্ধ হয়ে যায়।