চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর সারাদেশে পাসের হার ৮২.৮৭ শতাংশ। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৩.৭৫ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮২.৫১ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৭২.৭০ শতাংশ।
রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পরে অনলাইন ব্রিফিংয়ে ফল নিয়ে বিস্তারিত জানান তিনি।
এসএসসিতে গত বছর পাসের হার ছিল ৮২.২০ শতাংশ। এ বছর শতভাগ পাস করেছে ৩০২৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। গত বছর শূন্য পাসের হার ছিল ১০৭টি। আর এ বছর ১০৪টি। তবে গতবারের তুলনায় বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে। ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী এবার পরীক্ষায় অংশ নেয়।
এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে পাসের হার ৮৭.৩১ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৮৫.২২ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮০.৩০ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭৮-৭৯ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৭৯.৭০ শতাংশ, চট্টগ্রাম ৮৪.৭৫ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৯০.৩৭ শতাংশ এবং দিনাজপুরে ৮২.৭৩ শতাংশ।
এ বছর বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও উত্তীর্ণের সংখ্যা উভয়ই কমেছে। বিজ্ঞানে এবছর পাসের হার ৯৪.৫৪ শতাংশ। মানবিকে পাসের হার ৭৬.৩৯ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষায় ৮৪.৮০ ভাগ।
ফলাফল হস্তান্তরের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে বিশ্বে সবচেয়ে বড় প্রণোদনা দিয়েছে বাংলাদেশ। শুধু নিজের ভালো থাকা না, দেশের ও দেশের মানুষকে ভালো রাখতে চাই, যেটা আমার কর্তব্য।
সেসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা শুধু নিজের না মানুষের কথা চিন্তা করো। আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক মেধাবী। তারা সুযোগ পেলে অনেক কিছু করতে পারবে। তাদের সুযোগ করে দিতে চাই, তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরা আমাদের দেশের ভবিষ্যত। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে চাই। তাই এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবো না। এই সময়টা কাজে লাগাও। আত্মবিশ্বাস রাখো।
নিজ নিজ ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করবে শিক্ষা বোর্ডগুলো। শিক্ষার্থীরা রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ফল সংগ্রহ করতে পারবেন।