তেহরানে সৌদি দূতাবাসে বোমা হামলার পর এবার সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ইরানি দূতাবাসে বোমা হামলার অভিযোগ করেছেন ইরান। দেশটি জানিয়েছে, ইয়েমেনের সানায় অবস্থিত দূতাবাসে বোমা হামলা চালিয়ে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন বাহিনী।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বরাতে জানানো হয়েছে, কোয়ালিশন বাহিনীর বিমান হামলায় দূতাবাসের বেশ কয়েকজন স্টাফ আহত হয়েছেন।
শিয়া নেতা নিমর আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনাকর সম্পর্ক বিরাজ করছে। তেহরান দূতাবাসে হামলার পর ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সহ সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সৌদি আরব। তাদের পথ অনুসরণ করেছে আরো বেশ কয়েকটি দেশ।
ইরান থেকে স্টাফ ফেরানোর পর সৌদি আরব থেকে দূতাবাসের সব কর্মকর্তা কর্মচারী দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে তেহরান। সৌদি আরবের পণ্য ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইরান। পাল্টা জবাব হিসেবে ইরানি পণ্য বর্জনে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি ব্যবসায়ীরা।
সানার বাসিন্দাদের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, সেখানে হাউতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য বেশ কয়েক ডজন বোমা ও বিমান হামলা চালিয়েছে কোয়ালিশন বাহিনী।
তবে সানার বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, বোমা ও বিমান হামলায় কোনো দূতাবাস ক্ষতি হতে দেখননি তারা।
কোয়ালিশন বাহিনীর একজন মুখপাত্র জানান, বিদ্রোহীদের ক্ষেপনাস্ত্র লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। বিদ্রোহীরা অস্ত্র সরবরাহের জন্য একটি পরিত্যক্ত দূতাবাস ব্যবহার করেছিলো।
রিয়াদের অভিযোগ হাউতি বিদ্রোহীদের অস্ত্র সহ সব ধরনের সাহায্য করছে তেহরান। তবে এই অভিযোগ সব সময়ই অস্বীকার করে আসছে ইরান।
এটা স্পষ্ট না যে, সানায় ইরানি দূতাবাস কোথা থেকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইয়েমেনে যুদ্ধ শুরুর পর অনেক দেশই তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দিয়ে স্টাফদের দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোসেইন জাবের আনসারির বরাতে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা জানায়, হামলা বেশ ভবনের বেশ কিছু জায়গায় ক্ষতি হয়েছে।
আর কোয়ালিশন বাহিনীর মুখপাত্র জেনারেল আহমেদ আসেরি বলেন, ইরানের অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে।