একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। গত কয়েকদিনে আজও চতুর্থবারের মতো আরেকটি ঘটনা ঘটেছে। রোববার বেলা সাড়ে এগারটার দিকে ডাকসু ভবনের সামনে এ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।
এরআগে গত ৩০ ডিসেম্বর ককটেল বিস্ফোরণে মধুর ক্যান্টিনের এক কর্মচারী আহতও হয়েছে। ডাকসু নেতৃত্বের মধ্যে নানা ঘটনার পাশাপাশি এই ককটেল বিস্ফোরণ আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বুয়েটে আবরার হত্যা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ছাত্র রাজনীতিকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। ছাত্র রাজনীতির পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত থাকলেও ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজন অনস্বীকার্য। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক গণজাগরণে ছাত্রদের ভূমিকা উল্লেখ করার মতো। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য যে ছাত্র রাজনীতিতে কিছু ঘটনার কারণে বর্তমানের এই প্রশ্নবিদ্ধ পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে ককটেল বিস্ফোরণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক জন্ম দেবার পাশাপাশি দেশের মূলধারার রাজনীতিতে সহিংসতার উস্কানি হিসেবেও কাজ করছে বলে অনেকে মতপ্রকাশ করছেন। বিষয়টি চিন্তার বলে আমরা মনে করি।
ককটেল বিস্ফোরণের এসব ঘটনার জন্য ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রতিপক্ষ দলগুলোকে দায়ি করে বক্তৃতা-বিবৃতি দিচ্ছে, আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিছুটা তাল মেলানো ও গৎবাধা বক্তব্য দিয়ে দায়মুক্তির চেষ্টা করে আসছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ দেখে মনে হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা আইন-শৃঙ্খলা ও আধুনিক মনিটরিং ব্যবস্থা সুবিধাসহ একটি নিয়ন্ত্রিত এলাকা। কিছু দূরে শাহবাগ থানা ও মেট্রোরেলের কর্মকাণ্ডের কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে এ এলাকায়। এছাড়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনে সিসি টিভি ক্যামেরার আওতায় থাকার পরেও এখানে কীভাবে একের পর এক ঘটনা ঘটছে, তা খতিয়ে দেখা জরুরি। কোনো বড় ধরণের নাশকতা বা বড় কোনো ঘটনার সূত্রপাত যেন শিক্ষাঙ্গণ থেকে না হয়, এ বিষয়ে বিভিন্ন দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই সচেতন ও সাবধান হবেন বলে আমাদের আশাবাদ।