ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর্থিক সংকটে পড়েছেন অনেক ক্রিকেটার। রমজান মাসের একেকটি দিন অতিবাহিত হচ্ছে আর চিন্তা বাড়ছে তাদের। সামনে ঈদুল ফিতর, অথচ অনেকেরই নেই কোনো প্রস্তুতি। বেশিরভাগ ক্রিকেটারই ক্লাবের কাছ থেকে পাননি চুক্তির প্রথম ধাপের টাকা।
জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের আয়ের প্রধান উৎস ঢাকা লিগ। ১৫ ও ১৬ মার্চ প্রথম রাউন্ড মাঠে গড়ানোর পর দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটলে লিগ স্থগিতের ঘোষণা দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
করোনায় সৃষ্ট দুর্যোগে প্রিমিয়ার লিগের ১২টি ক্লাবের প্রায় একশ ক্রিকেটারকে বিসিবি এককালীন ৩০ হাজার টাকা দিয়েছে এপ্রিলের শুরুতে। মেয়েদের জাতীয় দল ও বিসিবির ক্যাম্পে থাকা ক্রিকেটারদের দেয়া হয় ২০ হাজার করে অনুদান। একমাস অতিবাহিত হওয়ায় ফুরিয়ে এসেছে টাকা। ঈদ তাই দুর্ভাবনার উপলক্ষ হয়ে সামনে আসছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ক্রিকেটার জানান তাদের দুরবস্থার কথা।
সংকটকালীন সময়ে ‘ঈদ উপহার’ নিয়ে বিসিবি ক্রিকেটারদের পাশে আরেকবার দাঁড়াবে কিনা সেই প্রশ্ন ছিল নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর কাছে। সরাসরি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলেননি বিসিবির প্রধান নির্বাহী। বললেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। অবশ্যই বিসিবি দেশের সব ক্রিকেটারের অভিভাবক। তাদের ভালো-মন্দের চিন্তা আমরা করি এবং করবো।’
ঢাকা লিগ যদি এ মৌসুমে না হয় তাহলে সংকট আরও বড় হবে ক্রিকেটারদের। ১০মে থেকে শর্তসাপেক্ষে শপিং মল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে মাঠে খেলা গড়াতে লেগে যেতে পারে দীর্ঘ সময়।
লিগের আয়োজক ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) সদস্য সচিব আলী হোসেন জানালেন, ঢাকা লিগ মাঠে গড়ানো নিয়ে কোনো আলাপ-আলোচনাই এখনো হয়নি। অগ্রগতি হলে জানাব।