আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে সাধারণ করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা চলতি অর্থবছরের ন্যায় আড়াই লাখ টাকায় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। নারী ও ৬৫ বছর ঊর্ধ্ব করদাতাদের ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত কর দিতে হবে না।
তবে প্রতিবন্ধী করদাতাদের ক্ষেত্রে এই সীমা ৩ লাখ ৭৫ হাজার থেকে ৪ লাখ টাকা করা হয়েছে। সকল ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতামাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের জন্য করমুক্ত সীমা আরো ২৫ হাজার বেশি হবে।
এছাড়া গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা চলতিবছরের ন্যায় ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকায় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল আবদুল মুহিত আগামী অর্থবছরের বাজেটের করমুক্ত আয়ের সীমার ক্ষেত্রে এসব প্রস্তাব করেন।
সাধারণ করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ও করহারে পরিবর্তন না আনা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তব্যে বলেন, ‘করমুক্ত আয়ের সীমা নির্ধারণে একটি নীতিগত দর্শন থাকা উচিত। মাথাপিছু আয়ের অনুপাত ও মূল্যস্ফীতি এ দু’টি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে করমুক্ত আয়ের সীমা নির্ধারিত হতে পারে। বাংলাদেশে করমুক্ত আয়ের সীমা মাথাপিছু ২০০ শতাংশের বেশি। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ অনুপাত ১০০ শতাংশের মধ্যে থাকে। এছাড়া আমাদের মুদ্রাস্ফীতি এ মুহুর্তে কম, পাঁচ শতাংশের মতো। ফলে আগামী বছরে করমুক্ত আয়ের সাধারণ সীমা ও করহারে কোন পরিবর্তন আনা হচ্ছে না।’
সাধারণ করদাতাদের ক্ষেত্রে আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকার পর প্রথম সাড়ে ৪ লাখ টাকার জন্য ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকার জন্য ১৫ শতাংশ, এর পরের ৬ লাখ টাকার জন্য ২০ শতাংশ, আর পরবর্তী ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ এবং অবশিষ্ট মোট আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।