সিরিয়ায় আগ্রাসনের পরিকল্পনায় তুরস্কের একটি সামরিক ঘাঁটিতে সেনা ও যুদ্ধ বিমান পাঠাচ্ছে সৌদি আরব। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এসময় তিনি বলেন: সৌদি আরব যুদ্ধবিমান ও সেনা পাঠানোর প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে। তারা আইএস রুখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
আমরা আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রয়োজনীয় কৌশলের ওপর জোর দিচ্ছি। যদি এ ধরণের কৌশল কাজে আসে তাহলে তুরস্ক ও সৌদি আরব হয়তো সম্মুখ অভিযান শুরু করবে।
এর আগে সিরিয়া শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হলে, আরও বিদেশি শক্তি সংঘাতে জড়িয়ে পড়বে বলে আশংকা প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি।
জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনে, ফরাসী প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালস সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় বেসামরিক নাগরিকদের উপর রুশ বিমান হামলা বন্ধের দাবি জানান।
এদিকে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের বলেছেন, সিরিয়ায় রাশিয়ার হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়ে বাশারের ক্ষমতায় থাকা দীর্ঘায়িত হতে দেওয়া হবে না। ভবিষ্যতে কোনো বাশার আল-আসাদ থাকবে না।
তবে রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ আবারো দাবি করেন, নিরীহ নাগরিকদের উপর রাশিয়ার বোমা বর্ষণের কোনো প্রমাণ নেই। জাতীয় স্বার্থ রক্ষায়ই সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া।
সেই সঙ্গে পুরো সিরিয়া বিদ্রোহীদের কবলমুক্ত করে আবার নিজের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট আসাদ।