দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ২৮৭তম দিনে আরও ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকালও মৃতের সংখ্যা একই ছিল।
এদিন শনাক্তের হার বেড়ে হয়েছে ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ। গতকাল যা ছিল ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ। নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৬৭ জন। এ সময় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৮৭ জন।
শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা সাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, নতুন করে ১২ হাজার ৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু নিয়ে পরীক্ষা (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) করা হয়েছে ১২ হাজার ৩০০টি নমুনা। সরকারী ব্যবস্থাপনায় ২৪ লাখ ৪১ হাজার ২৪২টি পরীক্ষা করা হয়, অন্যদিকে বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় ৬ লাখ ২১ হাজার ১২২টি পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ৩০ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় নতুন করে শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ১ হাজার ২৬৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬০ জন। মোট পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৩১ শতাংশ।
নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ২৫ জন। এদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ হাজার ২৪২ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
মৃতদের মধ্যে সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত পুরুষ ৫ হাজার ৫২২ জন মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৬ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং ১ হাজার ৭২০ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা ২৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
তবে এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৯৮৭ জন। সবমিলিয়ে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৬০১ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ২০ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নতুন করে করোনায় মৃত ২৫ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব ৩ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১৫ জন রয়েছেন।
বিভাগ অনুযায়ী, নতুন করে করোনায় মৃত ২৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ১ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন ও রংপুর বিভাগে ১ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন রয়েছেন।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৭ কোটি ৬১ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১৬ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৫ কোটি ৩৩ লাখের বেশি।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ছিল। দেশের ইতিহাসে দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য সবকিছু খুলে দেয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি আজ আরেক দফায় ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।