বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর পদত্যাগ করা সংসদীয় আসন টাঙ্গাইল-৪ কালিহাতী আসনে ৩ মাসের জন্য স্থগিত হওয়া উপ-নির্বাচনের ভাগ্য নির্ধারণী দিন আগামীকাল।
এর আগে উপ-নির্বাচনে প্রার্থী আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল হাইকোর্ট বেঞ্চে ২০১৬ সালের বছরের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তি করার আদেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। নির্বাচনের উপর দেওয়া স্থগিতাদেশ ওইদিন পর্যন্ত বহাল রাখার আদেশও দেন আদালত। এ সময়ের মধ্যে হাইকোর্টের জারি করা রুল হাইকোর্ট বেঞ্চে নিষ্পত্তির আদেশ দেয়া হয়।
কিন্ত শনিবার ৩০ জানুয়ারী পর্যন্ত হাইকোর্ট বেঞ্চে বিষয়টির নিস্পত্তি না হওয়ায় অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘ হচ্ছে ওই নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের।
আলোচিত এ উপ-নির্বাচনের আলোচনা-সমালোচনা, ঘটনা প্রবাহ যেন শেষ হয়েও হচ্ছে না শেষ। আগামীকাল ৩১ জানুয়ারী উপ-নির্বাচনের স্থগিতাদেশের সর্বশেষ দিন। ওই নির্বাচনী আসনের প্রতিটি মানুষের সাথে সাথে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন সারাদেশের মানুষ। কালই কি ভাগ্য নির্ধারণী দিন! না নতুন করে জন্ম নিবে নতুন আলোচনার!
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃৃত হওয়ার পর সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী সংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার পদত্যাগের ফলে টাঙ্গাইল-৪ কালিহাতী আসন শূন্য ঘোষণা করে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন অফিস।
উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, তার স্ত্রী নাসরিন কাদের সিদ্দিকী ও দলের আরো দু’জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।
১৩ অক্টোবর কাদের সিদ্দিকী ও নাসরিন কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র ঋণ খেলাপের অভিযোগে বাতিল করেণ রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে কাদের সিদ্দিকী নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীতা বহালে আপিল করলে ১৮ অক্টোবর তা খারিজ হয়। এরপর তিনি উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হলে ২১ অক্টোবর হাইকোর্ট এক আদেশে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। সেই সাথে ২২ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দ পান তিনি।
হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে নির্বাচন কমিশন। ২৭ অক্টোবর ওই আবেদনের উপর শুনানি হয়। চেম্বার আদালত নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশনের আবেদন ২ নভেম্বর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী গত বছরের ১০ নভেম্বর টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো।