যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারনেট ভিত্তিক বিশ্বের বৃহৎ খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান আমাজন তাদের সাইটে পণ্য বা বইয়ের ভূয়া রিভিউ লিখে দেয়ায় বাংলাদেশীসহ কয়েকটি দেশের রিভিউ লেখকদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে এ ধরনের রিভিউ লেখকদের মধ্যে চীন, ফিলিপাইন ও যুক্তরাজ্যের কয়েকজন নাগরিকও রয়েছে। উল্লেখযোগ্য হারে জাল সমালোচনা বেড়ে যাওয়ায় এ ধরনের পদক্ষেপ নেয় আমাজন।
ফ্রিল্যান্স লেখকদের জন্য অনলাইন মার্কেট প্লেস ‘ফিভারডটকম’ এর মা্ধ্যমে ভুয়া রিভিউ লিখে দেয়ার সেবা প্রদান করার দায়ে ১ হাজারেরও অধিক রিভিউ লেখকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে আমাজন। এই সাইটে চুক্তিবদ্ধ হয়ে লেখকেরা অর্থের বিনিময়ে পণ্য ও বইয়ের ইতিবাচক সমালোচনা লিখে দেয়ার জন্য প্রচার চালায়। যার ফলে র্যাটিং পদ্ধতিতে ভ্রান্তির সৃষ্টি হয়, যার উপর নির্ভর করে আমেরিকান ইলেকট্রনিক কমার্স এবং ক্লাউড কম্পিউটিং কোম্পানি আমাজন।
শুরু থেকেই লেখকদের প্রোফাইল মুছে ফেলা হচ্ছে, কিন্তু দ্য টাইমস লুকিয়ে রাখা ৫০টি প্রোফাইলের অনুসন্ধান করে দেখেছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রয়েছে বাংলাদেশের। আরও রয়েছে চীন এবং ফিলিপাইনের নাগরিক।
যেসব ব্রিটিশ নাগরিকের বিরুদ্ধে জাল রিভিউ লিখে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে ‘ফিভার’ সাইটটিতে তারা তাদের প্রোফাইলে এ ধরনের সেবা প্রদানের জন্য বিজ্ঞাপন দেয় না। কিন্তু ‘স্টে-এট-হোম মম এন্ড এ পাস্টোর্স ওয়াইফ’ নামে একজন তার প্রোফাইলে ১২ ঘন্টার ভেতর পণ্যের জন্য উচ্চমানের রিভিউ লিখে দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন।
আমাজনের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন ক্রেতাদের জন্য রিভিউগুলোকে যথাসম্ভব উপকারী করে তুলার জন্য এই ধরনের জালিয়াতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
“আমাদের নির্দেশনার বিঘ্ন ঘটায় এমন রিভিউগুলোর কিছু অংশ সনাক্ত এবং সরিয়ে ফেলতে আমরা কয়েকটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করছি। আমরা একাউন্টগুলোও বন্ধ করে দিচ্ছি। এই পদ্ধতির অপব্যবহারকারী কয়েকজন ব্যক্তি এবং ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আমরা মামলা দায়ের করেছি।”
সূত্র : দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট